অমিক্রন আতঙ্কে ভারতে কারফিউয়ের সুপারিশ

ভারতে ক্রমাগত বাড়ছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সে কারণে আগেভাগেই ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দেশটির সরকার। অমিক্রন মোকাবিলায় প্রয়োজনে রাতে কারফিউয়ের সুপারিশও করা হয়েছে। দেশটিতে অমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে। রাজ্য ২টিতে ৫৪ করে অমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর পাওয়া গেছে।আজ বুধবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে। 

মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, রাজস্থান ও কেরালাতেও অবস্থা উদ্বেগজনক। সে কারণে আগেভাগেই ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দেশটির সরকার।  অমিক্রন মোকাবিলায় প্রয়োজনে রাতে কারফিউয়ের সুপারিশও করা হয়েছে।তেলেঙ্গানা রাজ্যে ২০ জন, কর্ণাটাকে ১৯, রাজস্থানে ১৮ এবং কেরালা ও গুজরাটে যথাক্রমে ১৫ ও ১৪ জনের অমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।

রাজ্যগুলোকে লেখা এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি বিপদসীমা বেঁধে দিয়েছে। কেন্দ্র বলছে, যে যে এলাকার পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের বেশি বা যে যে এলাকায় অক্সিজেন পরিষেবা থাকা আইসিইউ বেডগুলোর ৪০ শতাংশ ভর্তি, সেই সব এলাকা বিপদসীমা অতিক্রান্ত বলে ধরা হবে। এই বিপদসীমা যাতে না পেরোয়, তা নিশ্চিত করতে দ্রুত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলোকে।

করোনার যতগুলো স্ট্রেন এসেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে সংক্রামক এই অমিক্রন। অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকেও তিনগুণ বিপজ্জনক এই ভ্যারিয়েন্ট। অমিক্রনের প্রভাব যাতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো বিপজ্জনক না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে এখন থেকেই প্রস্তুত হতে হবে। প্রয়োজনে ফের কড়াভাবে চালু করতে হবে নাইট কারফিউ। রাজ্যে রাজ্যে খুলতে হবে ওয়ার রুম।

Exit mobile version