গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকায় মাসুদ মিয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ওই এলাকায় পীর হিসেবে পরিচিত। ঘটনার পর থেকে মাসুদ মিয়া পলাতক। তবে পীরের সহযোগী সাগর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, আমবাগ এলাকার মাসুদ নামে এক পীর ও তার সহযোগী সাগর তালিম দিয়ে থাকেন। ওই পীরের কাছে তালিম নেওয়ার জন্য আসতেন স্থানীয় এক নারী। গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে পীরের সহযোগী সাগর ওই নারীকে তালিম নেওয়ার জন্য তার বাসায় আসতে বলেন। খবর পেয়ে ওই নারী তার স্বামীকে নিয়ে মাসুদের কাছে যান।
রাত ১১ টার দিকে মাসুদের সহযোগী ওই নারীকে একটি পান খেতে দেন এবং তার স্বামীকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠান। পান খাওয়ার পরে নারী অজ্ঞান হয়ে যান। এ সময় পীর নারীকে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ফিরে এসে বিষয়টি বুঝতে পেরে চিৎকার করতে শুরু করলে আশপাশের লোকজন সেখানে ছুটে আসেন। এ সময় সাগরের সহযোগীতায় মাসুদ পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আজ বুধবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে পীর মাসুদ ও তাঁর সহযোগী সাগরকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার আগেই প্রাথমিক অভিযোগ পেয়ে আজ সকালে সাগর আলীকে আটক করা হয়েছিল। মামলার পর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা পীরের সহযোগী সাগরকে গ্রেপ্তার করেছি। তবে পীর মাসুদ পলাতক। আমরা তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’