এক্সক্লুসিভজানা অজানা

চোখের মণি ও শরীরজুড়ে ট্যাটু,বিশেষ অঙ্গে ২৭৮টি পিন

শরীরজুড়ে ৪৫৩টি ছিদ্র নিয়ে গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছেন জার্মানির ডর্টমুন্ডের রলফ বুচোলজ।বয়স তাঁর ৬১। ‘শরীরে সবচেয়ে বেশি ছিদ্রযুক্ত’ মানুষ হিসেবে পরিচিত তিনি। তাঁর শরীরে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ছিদ্র আছে। যার পরিমাণ ৪৫৩টি। সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো,তাঁর পুরুষাঙ্গে গাঁথা আছে ২৭৮টি পিন। এসব নিয়েই দুর্দান্ত যৌন জীবন তাঁর। এমন তথ্যই দিলেন পৃথিবীর সর্বাধিক ছিদ্রওয়ালা মানুষটি।

৪০ বছর বয়স থেকে তিনি শরীরে ছিদ্র করা, পিনসহ নানা অলংকার পরতে শুরু করেন। এমনকি এই পিন বিদ্ধ করা থেকে তাঁর পুরুষাঙ্গও বাদ যায়নি। তাঁর বিশেষ অঙ্গে ২৭৮টি পিন লাগানো থাকা সত্ত্বেও বিশ্বরেকর্ডধারী জোর দিয়ে বলেন, এটি তাঁর যৌন জীবনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলেনি। তিনি বলেন, ‘এটা মোটেও কোনো সমস্যা নয়। যদি কোনো সমস্যা থাকত, তাহলে আমি অনেক আগেই সেগুলো অপসারণ করতাম।’

রলফ বলেন, ‘আমার জন্য সবচেয়ে কষ্টদায়ক ছিল হাতের তালুর ট্যাটু।’ তবে বেডরুম নিয়ে রলফের উদ্বেগ না থাকলেও বিমানবন্দর নিরাপত্তার বিষয়টি ভিন্ন। ভ্রমণ করার সময় মেটাল ডিটেক্টরে তাঁর সমস্যা হয় প্রায়ই। বিপ বেজে উঠলেই মানুষের নজর যায় তাঁর ওপর এবং তাঁর অনভ্যস্ত চেহারা মানুষের কৌতূহলের কারণ হয়।

সেই সঙ্গে তিনি তাঁর সর্বাঙ্গে আঁকিয়েছেন অসংখ্য ট্যাটু। এই ট্যাটু আঁকা থেকে বাদ যায়নি তাঁর চোখের মণিও। প্লান্ট করেছেন দুটি শিং।টেলিকমে কাজ করা রলফ তাঁর ঠোঁটের মধ্যে এবং এর চারপাশে ৯৪টি ছিদ্র করেছেন। তাঁর শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশই ট্যাটুতে ঢেকে আছে।

Back to top button