চলতি মাসের শেষে এসএসসির ফল প্রকাশ
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতে পারে ২৩ থেকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোনো দিন। ফল প্রকাশের সম্ভাব্য এই সময় প্রস্তাব করেছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব–কমিটি। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন ফল প্রকাশের জন্য সম্মতি দেবেন, সেদিন ফল প্রকাশ করা হবে। সাধারণত প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
ফলাফল তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সেটি প্রকাশে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, গতকাল রোববার এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালের এসএসসি-সমমানের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আয়োজিত তিন বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বরের পর যেকোনো দিন তা প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত মাসে পরীক্ষা শুরুর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। এই পরীক্ষা ১৪ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয়েছিল ২৩ নভেম্বর।আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপকমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম বাংলা ম্যাগাজিনকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ফল প্রকাশের জন্য তাঁরা প্রস্তুতি নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলে উল্লিখিত দিনের পর বা আগামী ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা যেতে পারে। এতে করে জানুয়ারি থেকে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমতি চেয়ে আরেকটি প্রস্তাব পাঠানো হবে। তিনি যেদিন সময় দেবেন সেদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ফলাফল প্রকাশের দিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেশের সকল শিক্ষাবোর্ডের ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রী ফলাফল প্রকাশের অনুমোদন দিলে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তা প্রকাশ করা হবে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে আট মাস পর এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখের বেশি। করোনার কারণে এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্নভাবে অনুষ্ঠিত হয় এই পরীক্ষা। অন্যান্য বছরের মতো সব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। শুধু গ্রুপভিত্তিক (বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি) তিনটি বিষয়ে সময় ও নম্বর কমিয়ে হয় এই পরীক্ষা। আবশ্যিক ও চতুর্থ বিষয়ের কোনো পরীক্ষা হয়নি। এসব বিষয়ে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে (ম্যাপিং করে) নম্বর দেওয়া হবে।