আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলার অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের মিললে যেকোনো সময় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ৪ ডিসেম্বর প্রতারণার এই মামলাটি করেন ইভ্যালির গ্রাহক সাদ স্যাম রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, তাহসান শবনম ফারিয়া হচ্ছেন তালিকার সাত, আট ও নয় নম্বর আসামী। যেহেতু মামলা হয়েছে তারা আমাদের নজরদারিতে আছেন।সাদ স্যাম জানান, ইভ্যালির চিফ গুডনেস অফিসার-সঙ্গীত শিল্পী তাহসান, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা-সোস্যাল মিডিয়া তারকা আরিফ আর হোসাইন, প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা-অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর-অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে দেখে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আস্থা পান তিনি। অর্ডার দেন ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকার বাইকের। তবে অনেক চেষ্টা করে সাত মাসেও পণ্য পাননি। তাই বাধ্য হয়ে মামলা করেছেন।
রাফিয়াথ রশিদ মিথিলার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তো কোনো লিগ্যাল নোটিশ পাইনি। আমি আসলে কিছুই ডিটেইল জানি না। এখনো বুঝতে পারছি না। বিষয়টির কিছুই জানি না।’মিথিলা বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। আমি তো আসলে কিছু করি নাই। আমি তো ওখানে (ইভ্যালিতে) ছিলাম এক মাসের মতো। আমার জন্য শকিং। কখনো হয় নাই তো। আসুক লিগ্যাল নোটিশ।’মিথিলা বলেন, ‘আমরা তো হাজারের বেশি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করি। এখন একটি নিয়ে মামলা হলো। দেখি।’
ইভ্যালি ইস্যুতে কয়েক মাস ধরে তাহসানকে অপমানিত হতে হচ্ছে, যা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। তাই তিনি ইভ্যালির বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও ভাবছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস থেকে এমনটাই জানান তাহসান।গ্রাহক সাদ এর করা মামলার এক নম্বর আসামি ইভ্যালি চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে। প্রতারণা ও অর্থআত্মসাতের মামলায় দুজনেই কারাগারে রয়েছেন।শবনম ফারিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।