মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য থাকার বৈধতা নিয়ে রিট
ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য (এমপি) পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ এ রিট করেন। রিটে জামালপুর-৪ আসনের এমপি মুরাদ হাসানের কর্মকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তও চাওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন বক্তব্যে বেফাঁস মন্তব্য এবং অডিও কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য (এমপি) পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাঁচ মাসের মাথায় ২০১৯ সালের ১৯ মে তাঁকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী করা হয়। পরে গতকাল তিনি পদত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করে পত্র পাঠান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। রাতে সেটি গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর এ বিষয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রকাশিত গেজেট বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
মুরাদ হাসানের পদত্যাগের খবরে তাঁর নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আনন্দ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মুরাদের কুশপুতুল দাহ করেন।
বেশ কয়েকদিন ধরেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আলোচনায়-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ডা. মুরাদ হাসান।বিশেষ করে রাষ্ট্রধর্ম, রাজনীতি, খালেদা জিয়ার নাতনি ও সবশেষ ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে ভেতর-বাইরে আলোচনা-সমালোচনায় ছিলেন। তার উল্টাপাল্টা মন্তব্য এবং অস্বাভাবিক আচরণের কারণে দলীয় সহকর্মীদেরও বিব্রত হতে হয়েছে।
এসবের জেরে সোমবার রাতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এদিকে মুরাদ হাসানকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে আগামী কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।সংশ্লিষ্টদের মতে, দল থেকে বহিষ্কার হলে তাকে সংসদ সদস্যপদও হারাতে হতে পারে।