মুরাদ হাসান পদত্যাগপত্রেও ‘বড় ভুল’ করলেন
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান আজ মঙ্গলবার তাঁর দপ্তরে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগপত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। ওই পদত্যাগপত্রে তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদানের তারিখ ২০২১ সালের ১৯ মে উল্লেখ করেছেন। পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা তারিখটি ঠিক থাকলেও সালটি ভুল। প্রতিমন্ত্রীকে আসলে ২০১৯ সালের ১৯ মে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে মুরাদ হাসান লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্ব-শ্রদ্ধেয় সালাম নেবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৯ মে ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২১ সাল থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।’
‘এমতাবস্থায়, আপনার নিকট বিনিত নিবেদন, আমাকে অদ্য ৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার লক্ষ্যে পদত্যাগপত্র গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি।’
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ২০১৯ সালের মে মাসে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সাংসদ। তাঁর বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।পদত্যাগপত্রে দেওয়া সময় অনুসারে মুরাদ হাসান মাত্র সাড়ে পাঁচ মাস দায়িত্ব পালন করেছেন। আসলে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন আড়াই বছরের বেশি।
আর আজ সকালে, আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। আগামী কার্যনির্বাহী সভায় তার বহিষ্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, অশালীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় মুরাদ হাসানকে আজকের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর করা অশ্লীল মন্তব্যকে ঘিরে কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। এর মধ্যেই গতকাল ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে তাঁকে হুমকিও দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।