ডা. মুরাদের সেই অডিও নিয়ে মাহি’র বক্তব্য
সম্প্রতি প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ফাঁস হওয়া অডিও আলাপ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আর ওই অডিও কলে যে পুরুষকণ্ঠ শোনা গেছে তা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর বলেও দাবি করেছেন তিনি।সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে যাওয়া মাহি সোমবার (৬ ডিসেম্বর) মক্কা থেকে এক ভিডিও বার্তায় নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানান।
ওমরাহ পালন করতে স্বামীর সঙ্গে সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থান করছেন ঢালিউড তারকা মাহিয়া মাহি। এরই মধ্যে রোববার রাতে ফাঁস হয় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের সঙ্গে তাঁর পুরোনো একটি কথোপকথন। এ নিয়ে জানতে সারা দিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, সংযোগ পাওয়া যায়নি। অবশেষে ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন মাহি। কিছুক্ষণ আগে মক্কার হারাম শরিফ থেকে এক ভিডিও বার্তায় সেদিনের জবাব দিলেন এই অভিনেত্রী।
ভিডিও বার্তায় মাহি বলেন, আমার আসলে সেদিন আদৌ বলার কোনো ভাষা ছিল না। সেজন্য আমি প্রতিবাদ করিনি। আমি নিজের মতো আমার মনে হয়েছে, আমার পাশ কাটিয়ে যাওয়া উচিৎ। আমি চুপ থেকেছি, পাশ কাটিয়ে গিয়েছি। ঠিক দুই বছর আগের একটা ঘটনা ছিল এবং বরাবরে মতো আমি আল্লাহর কাছে বলি, আল্লাহ আমি কষ্ট পেয়েছি। যার মাধ্যমে আমি কষ্ট পেয়েছি, কোনো না কোনোভাবে তার রেজাল্টটা তিনি পেয়েছেন। এটা প্রমাণিত।
ভিডিও বার্তায় মাহিকে কালো কাপড়ে ঘোমটা ও কালো মাস্কে মুখ ঢাকা অবস্থায় দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘আমি মাহি, মক্কার হারাম শরিফ থেকে বলছি। আপনারা জানেন, আমরা ওমরাহ পালন করতে এসেছি। এ জন্য ফোন রিসিভ করছি না। ইবাদত করতে এসেছি, সেটাই ঠিকমতো করতে চাই। যেটা বলার জন্য ভিডিওটা করেছি সেটা হচ্ছে, আমি সেদিনও ভীষণ বিব্রত ছিলাম। নিজের আত্মসম্মানে সেদিন কতটা আঘাত লেগেছে, সেটা আমি জানি আর আমার আল্লাহ জানেন এবং আজ আরও একবার আমি বিব্রত হলাম। নিজের কাছে ছোট হলাম, দেশবাসীর কাছে আরও একবার ছোট হলাম।’
এদিকে ফাঁস হওয়া ক্লিপটি নিয়ে মুখ খুলেছেন চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমনও। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানান, অডিও ক্লিপটি সঠিক। অপর প্রান্তে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তবে ঘটনাটা দুই বছর আগের। একটি ছবির মহরত অনুষ্ঠানের আগের রাতে ফোন দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে মাহি আরও বলেন, ‘এই বিষয় নিয়ে এখান থেকে কথা বলার মানসিকতা আমার নেই। আমি দোষী কি না, আপনারা নিজের জায়গা থেকে চিন্তা করবেন। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমাদের ওমরাহ যেন আল্লাহ কবুল করেন। আমার কোনো দোষ ছিল না। আমি একটা পরিস্থিতির শিকার ছিলাম।’’