মিয়ানমারের অং সান সু চির চার বছরের কারাদণ্ড

চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার (৬ ডিসেম্বর) এ রায় দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাকে ভিন্নমত উসকে দেওয়ার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইনের অধীনে কোভিড নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ রয়েছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই নেত্রী।

মিয়ানমারে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় অং সান সু চিসহ তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের। সেনা হেফাজতে নেওয়ার চার মাস পর গত জুনে বিচার শুরু হয় সু চির। সেনাবিরোধী উসকানি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গসহ তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব মামলার সব কটিতে দোষী সাব্যস্ত হলে এক শ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে সু চির।

গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হন অং সান সু চি। এর পরই তাকে আটক করে জান্তা। তখন থেকেই সেনাদের অধীনে গৃহবন্দী তিনি।তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর কারণ হিসেবে জান্তা সরকারের দাবি, ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে ভোট কারচুপি করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি।

রাজধানীর নেপিদোতে বিশেষ সেনা আদালতে সু চির বিচারকাজ চলছে। সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি নেই। সু চির আইনজীবীরাও সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে পারেন না।সু চির পাশাপাশি আটক থাকা এনএলডির অন্য সদস্যদেরও বিচার চলছে। গত মাসের শুরুতে সাবেক একজন মন্ত্রীকে ৭৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সু চির এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে দেওয়া হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড।

Exit mobile version