দুর্ঘটনার সময় লাইভ করে বিপাকে শিক্ষার্থী
গত সোমবার রাতে মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনার জেরে রামপুরার সড়কে কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনা ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ করেন আবদুল্লাহ মেহেদী নামের ওই শিক্ষার্থী।লাইভ করে বিপাকে পড়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী।
গত ৭ নভেম্বর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর গণপরিবহনের ভাড়া ২৬ থেকে ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। ১৮ নভেম্বর থেকে রাজধানীর শিক্ষার্থীরা বাসে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের মধ্যে ২৪ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম নিহত হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ হয় নিরাপদ সড়কের দাবি। এরই মধ্যে সোমবার রাতে রাস্তা পার হওয়ার সময় রামপুরায় বাসচাপায় একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন নিহত হয়।
১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ‘বাশের কেল্লা’ ও ‘অণুবীক্ষণ’সহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পেজ থেকে গুজব ছড়াতে ও অপপ্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আবদুল্লাহ মেহেদী। এ ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার রাতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে রামপুরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
থানায় অভিযোগ দেওয়ার সময় মেহেদীর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু এনজামুল হক। থানা থেকে বেরিয়ে রাত ৮টার দিকে এনজামুল বলেন, সোমবার রাতে মেহেদী ব্যক্তিগত কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। খিলক্ষেত থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরা ব্রিজে এসে নামেন। সেখানে নেমে শোনেন সামনে ঝামেলা হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দৃশ্য দেখে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নামের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ দেন।
মেহেদীর ওই লাইভ ভিডিও এখনো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেজ থেকে প্রচারিত করা হচ্ছে। ভিডিওটির অংশবিশেষ কেটে কেটে অপপ্রচার চালানো ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বিষয়টি অবহিত করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁরা দুই বন্ধু বনানী থানায় যান। সেখান থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অফিসে যেতে বলা হয়। এরপর ডিবি অফিস থেকে বলা হয়, ঘটনাস্থল রামপুরা থানা এলাকায়, ওই থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। পরে তাঁরা রামপুরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।