বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সরকারের কাস্টডিতে নেই, তিনি মুক্ত বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। খালেদা জিয়া সরকারের কাস্টডিতে রয়েছে বলে বিএনপির দাবি সঠিক নয় বলেও জানান তিনি।রোববার (২৮ নভেম্বর) সংসদে বিচারপতিদের ভ্রমণ ভাতার বিলের ওপর আলোচনায় ও আইন পাসের সময় দেওয়া বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের কাস্টডিতে নেই। তাঁর দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি দুটো শর্তে সম্পূর্ণ মুক্ত। মুক্ত বলে তিনি মুক্তভাবে বাসায় থাকতে পারছেন। মুক্ত আছেন বলেই তিনি মুক্তভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন।শি ইজ ফ্রি অ্যান্ড শি ইজ টেকিং ট্রিটমেন্ট অ্যাকর্ডিং টু হার উইল।’
এর আগে বিএনপির এমপিরা অভিযোগ করেন খালেদা জিয়ার বাসাকে সাব-জেল বানিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া সরকারের দায়িত্বেই আছেন। দুই বছর জেলে ছিল, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে ছিল।আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ওনারা কেবল বলেন সাব-জেল বানিয়ে রাখা হয়েছে। ওনার বাসাটাকে কোনো জেলই বানানো হয়নি। ওনাদের (বিএনপির) তথ্যে এতই বিভ্রাট তা বুঝতে পারি না। এতই যদি ভালোবাসা থাকে তাহলে তো তথ্যটি জেনে এখানে কথা বলতে পারেন।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে একটি আইন পাসের আলোচনায় বিএনপির সাংসদের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বিলটির ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির সাংসদ মোশাররফ হোসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়ার বাসভবনকে সাব-জেল ঘোষণা করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৬ ধারায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যায়।
তিনি আরও বলেন, ৪০১ ধারায় যাকে মুক্তি দেওয়া হবে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু কথা আছে শর্তযুক্ত অথবা শর্ত মুক্ত। আমরা সেখানে শর্ত দিয়েছি, বলেছি উনি বিদেশ যেতে পারবেন না বাংলাদেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন। উনি অবশ্যই মুক্ত। উনি দেশে যেখানে ইচ্ছা সেখানেই চিকিৎসা নিতে পারেন এবং সেটা তিনি নিচ্ছেন।
বিএনপির সংসদ সদস্যরা বলছেন ওনাদের নেত্রী কাস্টডিতে। উনি কাস্টডিতে নেই, সি ইজ ফ্রি অ্যান্ড সি ইজ টেকিং ট্রিটমেন্ট অ্যাকোর্ডিং টু হার হুইল। আমি বলেছি একটা বিষয় সিদ্ধান্ত হলে সেখানে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। এটা চাইলে ওনাকে অর্জিনাল প্রিজনে যেতে হবে। তারপর নতুন সিদ্ধান্ত হয়তো নেওয়া যাবে। ৪০১ ধারার বিষয়ে বিএনপি থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে আমার তার সঙ্গে দ্বিমত আছে। তাকে মানবিক কারণে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আমি আমার অবস্থান থেকে নড়ব না।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাঁকে (বেগম জিয়াকে) ছয় মাস করে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত। সেখানে দুটো শর্ত যুক্ত ছিল, সেটা এখনো আছে।’