কৃষি, প্রাণী ও পরিবেশঢাকাবাংলাদেশরাজধানী

রাজধানীর তাপমাত্রা কমছে

অবশেষে শীতের হাওয়া রাজধানীমুখী হয়েছে। গতকালের তুলনায় এক দিনে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক লাফে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। রাজশাহী, রংপুর, সিলেট বিভাগ আর যশোর-চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রাও এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল শনিবার দেশের বেশির ভাগ এলাকায় রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

এদিকে বৃষ্টি কমে গিয়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অবকাঠামো নির্মাণ এবং মেরামতের ধুম পড়েছে। ইটভাটাগুলো চালু হয়েছে পুরোদমে। ফলে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার বাতাস দ্রুত ধুলা আর ধোঁয়ায় দূষিত হয়ে উঠছে। এক সপ্তাহ ধরে রাজধানী ঢাকা বিশ্বের প্রধান ১০০টি শহরের মধ্যে বায়ুদূষণের দিক থেকে শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে।

এই দিনগুলোতে ঢাকার অবস্থান ১ থেকে ৩ নম্বরের মধ্যে থাকছে। বিশ্বের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ এই প্রতিবেদন লেখার সময় ঢাকার বায়ুর মান ছিল খুবই অস্বাস্থ্যকর। আর দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ছিল ৩ নম্বরে। ১ ও ২ নম্বরে ছিল পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লি।

উত্তরাঞ্চলের শীতপ্রধান এলাকাগুলোতে এমনিতেই এক সপ্তাহ ধরে প্রায় শীতের অনূভূতি পাওয়া যাচ্ছিল। সিলেট বিভাগ আর যশোর–চুয়াডাঙ্গার দিকেও হালকা ঠান্ডা পড়া শুরু করেছিল। আজ শুক্রবার এসব এলাকার তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, চলতি মাসের বাকি সময়জুড়ে অল্প অল্প করে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ঠান্ডার অনুভূতি বাড়তে পারে। তবে শৈত্যপ্রবাহসহ তীব্র শীত নামতে পারে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের পর।

আজ শুক্রবার দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বেশির ভাগ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। যশোর ও চুয়াডাঙ্গাতেও একই ধরনের আবহাওয়া ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ বলছে, শুধু উত্তরাঞ্চল ও দেশের অন্যান্য শীতপ্রধান এলাকাগুলো ছাড়াও এখন সারা দেশে তাপমাত্রা প্রতিদিন অল্প অল্প করে কমতে থাকবে। রাজধানী ও চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা আরও কমবে। তবে পুরোদমে শীত নামতে আরও এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগতে পারে। ডিসেম্বরের শুরুতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলজুড়ে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ওই বৃষ্টি ও মেঘ চলে যাওয়ার পর শীতের তীব্রতা দ্রুত বাড়তে পারে। এমনকি দেশের উত্তরাঞ্চলসহ কয়েকটি এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

Back to top button