অপরাধবাংলাদেশরাজধানী

উত্তরার কিং ফিশার বারে কিশোর গ্যাংএর দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ

মদ খাওয়া নিয়ে রাজধানীর উত্তরার কিং ফিশার বারে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বার ও বারের সামনে থাকা মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বারের সিকিউরিটি গার্ড পারভীন বলেন, ‘ডিউটিতে থাকা অবস্থায় বারের মধ্যে দুই গ্রুপের হাতাহাতি হয়। তখন বারের লোকজন মীমাংসা করে দেয়। এরপর এক গ্রুপের লোকজন বাইরে থেকে আরও লোকজন নিয়ে এসে বারে হামলা চালায়। এতে আমার মাথা ফেটে গেছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছি।’ 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, কিং ফিশার বারের মধ্যে মদ খাওয়ার সময় টেবিলে বসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরবর্তীতে তুরাগের বাউনিয়ার কিশোর গ্যাং লিডার সানির নেতৃত্বে দিয়াবাড়ি ও বাউনিয়া থেকে তিনটি লেগুনায় অর্ধ-শতাধিক কিশোর গ্যাং সদস্য এসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় বাইরে থাকা মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে তারা। তবে অপর গ্রুপের কারও নাম পরিচয় জানা যায়নি। এতে বারের নারী সিকিউরিটি পারভীনসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। 

হামলার বিষয়ে কিং ফিশার বারের ম্যানেজার ফরহাদ বলেন, বারের মধ্যে আসা কাস্টমারদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তাদের শান্ত করা হয়। পরবর্তীতে একটি গ্রুপের লোকজন বাইরে থেকে তিন-চারটি লেগুনায় আরও লোকজন নিয়ে এসে বারের নিচ তলায় থাকা ফুলের টব, ফার্নিচার ও বাইরে থাকা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। 

.স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রকাশ্যেই থানা-পুলিশকে ম্যানেজ করে এই বার চালানো হচ্ছে। কিশোর-কিশোরীসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও এ বারে গিয়ে নিয়মিত মদ পান করে। প্রতিনিয়ত রাতে গরীবে নেওয়াজ অ্যাভিনিউ সড়কে মারামারি ও মাতলামির ঘটনা ঘটে। কিন্তু আশপাশে পুলিশ থাকলেও তারা কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাদের পাহারা দেয়। বিনিময়ে পুলিশ হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের ঘুষ। 

স্থানীয়রা জানান, রাত ১০টার পর থেকে সারা রাত মদ কেনাবেচা চলে। টাকা দিলেই সারা রাত মদ পাওয়া যায়। আর সারা রাতই চলে মাতালদের উত্তাপ। ফলে আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তবে বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে ম্যানেজার ফরহাদ বলেন, ‘যাদের কাছে পারমিশন আছে, আমরা তাদের কাছেই মদ বিক্রি করি। অপ্রাপ্তবয়স্ক কাউকে ঢুকতে দেই না।’ 

এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই নিয়াজ মোহাম্মদ শরীফ বাংলা ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে কিং ফিশার বারে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। মামলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।’  

Back to top button