কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে নগরের পাথুরিয়াপাড়ার কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে হত্যার একদিন পর হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় মাদক ব্যবসায়ী শাহলমকে প্রধান আসামি করে এজহার নামীয় ১১ জনসহ মোট ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রুমন এ মামলা করেন।
নিহত সৈয়দ মো. সোহেল (৫২) কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন। তাঁর বাড়ি নগরের সুজানগর এলাকায়। ২০১২ ও ২০১৭ সালে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা পূর্ব পরিকল্পিত তাঁর ভাইকে গুলি করে হত্যা করে। ওই সন্ত্রাসীরা বহু মামলার আসামি। মামলায় নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ড সুজানগর বউ বাজার এলাকার জানু মিয়ার ছেলে শাহলম, শাহলমের ভাই আলম, তার ভাতিজা কানু মিয়ার ছেলে সুমন, বউ বাজারের কানাই মিয়ার রনি, নবগ্রামের মৃত সামছুল হক মিয়ার ছেলে সায়মন, সংরাইশ বেকারির গলির মনজিল মিয়ার ছেলে মাসুম, সুজানগর পূর্ব পাড়ার নূর আলীর ছেলে জিসান মিয়া, তেলিকোনার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান রকি, সংরাইশ কাকন মিয়ার ছেলে সাজন, সুজানগর পানির ট্রাংকি এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে মো. সাব্বির হোসেন ও নবগ্রামের সাব্বির হোসেনের ছেলে জেল সোহেলকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়া পাড়ায় কাউন্সিলরের অফিসে কাউন্সিলর সোহেল তার নিজের অফিসে বসে রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন। এ সময় একদল মুখোশধারী এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এতে গুলিবিদ্ধ হন কাউন্সিলর এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মো. সোহেল ও আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহা। এ ঘটনায় কাউন্সিলর সোহেলের মাথাসহ শরীরে ৯টি এবং হরিপদ সাহার পেটে ও বুকে দুটি গুলি লাগে।
পরে স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসক কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদকে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করেন।মঙ্গলবার জানাজা শেষে সোহেলের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সৈয়দ মোঃ সোহেল ২০১২ ও ২০১৭ সালে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।