অপরাধঢাকাবাংলাদেশ

ধামরাইয়ে নির্বাচনী সহিংসতা, নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ঢাকার ধামরাইয়ে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এক যুবককে চৌরাস্তার মোড়ে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করেছে বালিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনায় নির্যাতিত যুবককের লোকজনদের ওপর আরও হামলা করতে ওই চেয়ারম্যানের সমর্থকরা এলাকায় মাইকিং করে।

জানা গেছে, ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবর রহমান ও তার সমর্থকদের সাথে ওই ইউনিয়নের দুনিগ্রাম এলাকার আব্দুল গনি ও ইসরাফিল গংদের পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। গত ১১ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত ধামরাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মজিবর রহমানের পক্ষে নির্বাচনী কাজ না করায় এ বিরোধ আরও কঠোর হতে থাকে এবং তাদের মারধর করতে সুযোগ খুঁজতে থাকে তারা।

সোমবার বিকেলে ইসরাফিল বাস্তা বাজারের আসলে মজিবর রহমানের লোকজন তাকে আটকে মারধর করে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করতে থাকে।খবর পেয়ে ইসরাফিলের স্ত্রী বানু বেগম এগিয়ে এলে তাকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে দুনিগ্রামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে আসতে থাকে।

এ খবরে মজিবর রহমানের নেতৃত্বে এলাকায় মাইকিং করে তার কর্মী সমর্থকদের লাঠি সোটা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ ও কাওয়ালিপাড়া পুলিশ উপস্থিত হলে তাদের ঘেরাও করে চেয়ারম্যান ও তাদের লোকজন। কৌশলে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবর রহমানসহ ১০ জনকে আটক করে পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় মজিবর রহমানের লোকজনদের।

পরে দু-পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন কমপক্ষে ১১ জন। এঘটনায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবর রহমানসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।রাতেই চেয়ারম্যানসহ ২২ জনের নামে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত যুবককের ভাই আলআমিন। আটককৃতদের মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠিয়েছেন পুলিশ।

রাতেই আটককৃতসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চেয়ারম্যানসহ সকলকেই আদালতে পাঠান পুলিশ।ধামরাই থানা অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান জানান, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবর রহমানকে ১নং আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা আসামিদের আদালতে পাঠিয়েছি। আর এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

Back to top button