রাজধানীর বিভিন্ন রুটে সিটিং সার্ভিস বাস আজও বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। সকালে বের হয়েই পরিবহন সঙ্কটে ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও বাসের দেখা মিলেনি। আজ ভোরে কয়েকটি বাস চলাচল করলেও তা কিছু সময় পর থেকে বন্ধ করে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। সিটি সার্ভিস ছাড়া সেসব বাস চলাচল করছে সবগুলোতে গাদাগাদি করে উঠেছেন শ্রমজীবী মানুষ। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহান তারা।
গতকাল দুপুরে ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে মিরপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন রুটের বাস বন্ধ করে দেয় বাসচালকরা। সিটিং সার্ভিস ও ওয়েবিলের দাবিতে বাস বন্ধ রাখেন চালকরা। বাস চালাতে বাসের মালিক সংগঠনগুলো নির্দেশ দিলেও কোনো ফল হয়নি।
১৪ নভেম্বর (রোববার) থেকে রাজধানীতে কোনো ধরনের সিটিং সার্ভিস অথবা গেটলক সার্ভিস বাস থাকবে না বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। এরপর কয়েকদিন পার হলেও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। আর সিটিং সার্ভিসের নামে পকেট কাটা হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
চলতি মাসের প্রথম দিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ধর্মঘট ডাকে পরিবহন সংগঠনগুলো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সারা দেশের মানুষ। তখন সরকার বাসের বাড়া বর্ধিত করলে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়।
প্রায় ৭ বছর ধরে কন্ডাকটর পেশায় জড়িত পরিস্থান পরিবহনের বিপ্লব জানান, মালিকপক্ষ থেকে গাড়ি বন্ধ করার বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি। ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরেই আমাদের স্টাফরা গাড়ি বন্ধ রেখেছেন। আপনি কেন নেমেছেন প্রশ্নে তিনি বলেন, পেটতো চালাতে হবে। রাস্তায় না নামলে তো পেট চলবে না।