গ্লাসগো, লন্ডন ও প্যারিসে দুই সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর শেষে রবিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-২১০৯) আজ সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৬তম অধিবেশন যোগদানসহ এর সাইড লাইনে অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।১ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ফ্লাইটটি হেলসিঙ্কি-ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) মো. নাজমুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
হেলসিঙ্কিতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা যাত্রা-বিরতির পর হেলসিঙ্কি সময় সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। এ সময় বিমানবন্দরে ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) মো. নাজমুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।এর আগে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে দুই দিনের যাত্রা-বিরতির পর ১৯ সেপ্টেম্বর ৭৬তম ইউএনজিএ-তে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক পৌঁছান।
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন ও কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের পার্শ্ব আলোচনায় অংশ নেন।২৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে তাঁর সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর শেষে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন।
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য দেন। ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। তিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন।
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের ও রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন। বিভিন্ন সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নর্থ লনের ইউএন গার্ডেনে একটি চারাগাছ রোপণ করেন।