অপরাধএক্সক্লুসিভবিশ্ব সংবাদ

অতর্কিত হামলায় স্ত্রী-পুত্রসহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল নিহত

ভারতের মণিপুর রাজ্যে দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্ত্রী, ছেলেসহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন কর্নেল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে মণিপুরের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী চূরাচন্দপুর জেলার একটি এলাকায় দুর্বৃত্তরা গুলি করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন কর্নেলসহ আরও তিন ভারতীয় সেনাকে হত্যা করে। গত কয়েক বছরের মধ্যে মণিপুরে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় হামলার এই ঘটনা।

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অনেক রাজ্যের মতো মণিপুরেও ডজনখানেক সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে, যারা বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন অথবা বিচ্ছিন্নতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভুটান এবং চীনের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে মণিপুরের এমন কিছু এলাকায় গত কয়েক দশক ধরে সামরিক বাহিনী মোতায়েন রেখেছে ভারত।কিন্তু মণিপুরের এই সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা খুব বেশি দেখা যায়নি। তবে ২০১৫ সালে এই রাজ্যে সন্ত্রাসী হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্তত ২০ সদস্যের প্রাণহানি ঘটে।

সন্ত্রাসীদের অতর্কিত এই হামলায় আরও কয়েকজন জওয়ান আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মণিপুরের ওই এলাকায় অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং আসাম রাইফেলস।মণিপুরভিত্তিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) শনিবারের এই হামলার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। তবে এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই হামলায় দায় স্বীকার করেনি।

পুলিশের সূত্র এনডিটিভিকে বলেছে, সামরিক বাহিনীর গাড়িবহর আক্রান্ত হওয়ার স্থানে এখনও থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। চূড়াচাঁদপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই প্রথম অতর্কিত হামলায় বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটল। রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল থেকে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি উত্তরের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে এই হামলা হয়েছে।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন, মনিপুরের চূড়াচাঁদপুরে আসাম রাইফেলসের গাড়িবহরে কাপুরুষোচিত হামলা অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং নিন্দনীয়। আসাম রাইফেলসের একজন কর্নেল, তার পরিবারের দুই সদস্যসহ ৫ সাহসী সৈন্যকে হারাল দেশ। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।

Back to top button