রওশন এরশাদ এয়ার এম্বুলেন্সে ব্যাংকক গেলেন
উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির চিফ প্যাট্রন ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। শুক্রবার বিকাল ৫টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তিনি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহম্মদ কাদের বাংলা ম্যাগাজিনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল চিকিৎসা নেবেন। তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করছি।’এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে রওশন এরশাদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জিএম কাদের বলেন, বেগম রওশন এরশাদ সিএমএইচে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। ওনার শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে ইনফেকশন রয়েছে। এগুলোর চিকিৎসা চলছে। এরমধ্যে কিছু ইনফেকশনের ইমপ্রুভ হচ্ছে। ভালো খবর হচ্ছে, ওনার মস্তিস্কে যে ইনফেকশন ছিলো সেটা কমে গেছে। মাঝে মাঝে চোখ মেলছেন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ১৪ আগস্ট সিএমএইচে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা রওশন এরশাদের ফুসফুসে অস্বাভাবিক মাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি পান। তখন তার অক্সিজেন স্যাচুরেশনও কম ছিল। ওইদিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেখানে ফুসফুসে কার্বন ডাই অক্সাইডের স্বাভাবিক মাত্রা ৫০-৬০ থাকার কথা, সেখানে তার ছিল ২০০’র বেশি।
ওনার লাঞ্চের নিউমোনিয়ার অংশটার অবনতি হয়েছে। মাঝে মধ্যে ওনাকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। মোট কথা তার শারীরিক অবস্থা এক সময় ভালো, আরেক সময় খারাপ যাচ্ছে। এই অবস্থা চলমান রয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষায় বলতে গেলে, ওনার সেখান থেকে ফিরে আসা অনেকটাই সময় সাপেক্ষ এবং কঠিন ব্যাপার।
এর আগে তার করোনা ও ডেঙ্গু পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। অবস্থার অবনতি হলে ১৬ আগস্ট তাকে আইসিইউতে নেওয়া তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সে সময় বেশ কয়েকদিন তিনি আইসিইউতে ছিলেন। পরে আইসিইউ থেকে গত ২৫ আগস্ট তাকে সিএমএইচের অফিসার্স ফ্যামিলি ওয়ার্ডের ভিভিআইপি কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি সংসদে গত দুই মেয়াদে বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্বপালন করে আসছেন। এরশাদের মৃত্যুর পর ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ রংপুর-৩ আসন থেকে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।