গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে রেলের ওপর চাপ পড়েছে। অন্য শুক্রবারে এত যাত্রী দেখা যায়নি। তিনি আরও বলেন, মহামারির কারণে দাঁড়িয়ে যাওয়া যাত্রীদের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। এ জন্য মানুষ সমস্যায় পড়েছে। তবে যেসব যাত্রীর ঘরে ফেরা খুবই জরুরি, তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থায় টিকিট বিক্রি করা হয়। ওই পদ্ধতিতে সকাল থেকেই টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আজ শুক্রবার সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। যাত্রীদের চাপে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট মিলছে না। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন অনেকে। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন চাকরির জন্য আসা পরীক্ষার্থীরা।বেলা আড়াইটার দিকে শাওন আলী নামের এক যাত্রী বলেন, সাধারণত তিনি বাসে চলাচল করেন। বাস বন্ধ থাকায় ট্রেনে করে বাড়িতে যেতে কমলাপুরে এসেছেন। টিকিট না পেয়ে তিনি বেশ বিপাকে পড়েছেন।
স্টেশনে দায়িত্বরত এক আনসার সদস্য বলেন, সকাল থেকেই কমলাপুরে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। বাস বন্ধ থাকায় সব মানুষ ট্রেনে করে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে টিকিটের সীমাবদ্ধতা থাকায় অনেকেই অপেক্ষার পর ফিরে গেছে।স্টেশনে দায়িত্বরত এক আনসার সদস্য বলেন, সকাল থেকেই কমলাপুরে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। বাস বন্ধ থাকায় সব মানুষ ট্রেনে করে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে টিকিটের সীমাবদ্ধতা থাকায় অনেকেই অপেক্ষার পর ফিরে গেছে।
শাওন আলীর গন্তব্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সকালে নরসিংদী থেকে কমলাপুর এসেছিলেন বলে জানান। তিনি বলেন, নরসিংদী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরাসরি ট্রেনে যাওয়ার ব্যবস্থা নেই। তাই কমলাপুরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। প্রায় দুই ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষার পর যখন কাউন্টারের কাছে গেলেন, তখন তাঁকে জানানো হয়েছে, টিকিট শেষ হয়ে গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শাওন আলীর মতো কয়েক শ মানুষ কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে টিকিট পাননি।
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর যাঁরা ঘরে ফেরার টিকিট পেয়েছেন, তাঁদের বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে। টিকিট পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষার্থীরাও ছিলেন। আবার বিশেষ ব্যবস্থায় কয়েকজন শিক্ষার্থী অপেক্ষার পর টিকিট পেয়েছেন।এমন একজন শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন। চাকরির পরীক্ষা দিতে রাজশাহী থেকে ঢাকায় এসেছেন তিনি। আনোয়ার বলেন, জরুরি প্রয়োজনে স্টেশন কর্তৃপক্ষ টিকিট বিক্রি করে। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ওই টিকিট কিছুটা বেশি দামে নিতে হয়। সেখানেও অনেক ভিড় ছিল।