আইনসম্মতভাবে বিচ্ছেদের আগেই নতুন করে বিয়ের মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন, বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মি ও তার মা সুমি আক্তার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।রোববার তারা ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মোহাম্মদ জসীম দশ হাজার টাকা মুচলেকায় তা মঞ্জুর করেন। নাসিরের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হীরু।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তামিমা সুলতানা এবং সুমি আক্তার আজ রোববার সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে তাঁদের ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসানের দায়ের করা এই মামলায় পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ওই তিনজনকে আদালতে হাজির হতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সমন জারি করেছিলেন এ বিচারক।আদালতে তিন আসামির পক্ষে জামিন শুনানি করেন কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। আর বাদীপক্ষের ছিলেন আইনজীবী ইসরাত হাসান।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ বলেন, তালাক যথাযথভাবে হয়নি জেনেও ক্রিকেটার নাসিরের তামিমাকে বিয়ে করার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ডাক বিভাগের মাধ্যমে তালাকের নোটিশটিও সঠিক নয়। এখানে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
তালাক না হওয়ার তথ্য জানা সত্ত্বেও তালাক হয়েছে, এমন তথ্য প্রচার করায় ক্রিকেটার নাসির, তাঁর স্ত্রী তামিমা ও তামিমার মা সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে প্রতিবেদনে।চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে ঢাকার হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন মো. রাকিব হাসান। তার বক্তব্য শুনে ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানার বিয়ে হয়। এরপর নতুন করে বিতর্ক ওঠে এই ক্রিকেটারকে ঘিরে। তামিমা সুলতানা তাঁর আগের স্বামীকে তালাক না দিয়ে নাসিরকে বিয়ে করেছেন। রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এমন অভিযোগ তুলে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রাকিব হাসান। জিডিতে তামিমার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন রাকিব।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় নাসির ও তামিমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। নাসিরের স্ত্রী পেশায় কেবিন ক্রু। কাজ করেন বিদেশি একটি এয়ারলাইনসে। বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিবারের লোকজন এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন। নাসিরের বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেক ক্রিকেটারও উপস্থিত ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাসিরের বিয়ের ছবি ছড়িয়ে পড়ে।