অপরাধআওয়ামী লীগনোয়াখালীরাজনীতি

আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম আবু সায়েদ ওরফে রিপন (৫০)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের তালুয়া চাঁদপুর গ্রামের একটি রাস্তার ওপর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।

এ সময় দুর্বৃত্তরা তার সঙ্গে থাকা আড়াই লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। নিহত আবু ছায়েদ ভূঞা রিপন (৫০) উপজেলার মিরওয়ারিশ ইউনিয়ন আওয়ালীগের ১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তালুয়া চাঁদপুর গ্রামের ভূঞা বাড়ির মৃত রফিক ভূঞার ছেলে। তিনি চৌমুহনী চৌরাস্তার লালসবুজ পরিবহনের বাস কাউন্টারের মালিক ছিলেন।

ঘটনাস্থল থেকে বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইসহাক বলেন, আজ সকালে বারিরহাট এলাকায় সড়কের ওপর আবু সায়েদের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বিষয়টি থানায় জানান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ওই ব্যক্তিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশের পাশে সড়কের ওপর তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও পাওয়া যায়।

নিহতের স্বজনদের দাবি, নিহত রিপনের সঙ্গে সকলের সুসম্পর্ক ছিল। নিহতের ছেলে ইমরান হোসেন জানান, বুধবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে যে কোন এক সময়ে বেগমগঞ্জের চৌরাস্তার লাল সবুজ বাস কাউন্টার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ফেরার পথে কে বা কাহারা বাবাকে প্রথমে চলন্ত মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায় মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

এরপর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে হাতে, পায়ে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। এরপর লাশ বারিয়া হাট বাজার সংলগ্ন মোসলে উদ্দিন মাওলানার বাড়ির দরজায় মরদেহ রেখে চলে যায়।ইমরান হোসেন আরো জানান, আমার অসুস্থ কাকা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। তার চিকিৎসার আড়াই লক্ষ টাকা এ সময় বাবার সঙ্গে ছিল। ওই টাকাও সন্ত্রাসীরা লুটে নেয়।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Back to top button