হিজড়াদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

রাজধানীর উত্তরায় হিজড়াদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নয়জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।রোববার বিকেল ৪টার দিকে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৯ নম্বর সড়কে হিজড়া হাজী কচি ও হিজড়া আপনের দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সোমবার দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় আপন হিজড়ার স্বামী আব্বাস উদ্দিন আশিক বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও দুই থেকে তিনশ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেছেন। 

এ ঘটনায় আব্বাস উদ্দিন আশিক, ফাতেমা নামের দুজনসহ হিজড়াদের মধ্যে জেলী, কমলা, আচল, চিন্তা, নুপুর, মাধুরী, নেহা আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নেহাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আটজন টঙ্গীর আহসান উল্লাহ্ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

মামলায় কচি হিজড়া, স্বপ্না হিজড়া, রাখি হিজড়া, আনুড়ি হিজড়া, রাশিদা ওরফে শাহাজাদী হিজড়া, সাথি হিজড়া, রাশিদা হিজড়া, সরলা হিজড়া, হাসি হিজড়া, জুই হিজড়া, জোনাকি হিজড়া, আক্তার হিজড়া, শিলা হিজড়ার নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগীর পক্ষের হিজড়াদের গুরু আপন বলেন, ওদের হামলায় আমরা গুরুতর আহত। এ অবস্থায় ফোনে কথা বলাও সম্ভব না। হাজী কচি হিজড়া বলেন, আসলে মামলাটা পুরো মিথ্যা। ওদের সঙ্গে আমাদের দেখা বা কোন কথাই হয় নাই। অথচ ফোন দিয়ে আমাদেরকে ব্যাপক গালাগালি করেছে। 

এ বিষয়ে উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এস এম আশিকুর রহমান বলেন, হিজড়াদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়েছে। জানা গেছে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাত আটজন হিজড়া আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। 

রাখি হিজড়া বলেন, ওই খানে শত শত লোক ছিল। মারামারি বা হামলার ঘটনা ঘটলে তারা তো দেখবেই। সেই সঙ্গে সেখানে সিসি ক্যামেরাও ছিল, ওই রকম কিছু থাকলে ক্যামেরায় ধরা পরবে। তিনি দাবি করে বলেন, ঘটনার সময় উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াসিন গাজীসহ থানার একটি টহল টিম ছিল। তারাও বিষয়টি জানেন। 

সংঘর্ষের কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হিজড়াদের এক পক্ষ বলছে অতর্কিত হামলা, অপরপক্ষ বলছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা। বিষয়টি নিয়ে ঘটনাস্থল ও তার আশে পাশে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

Exit mobile version