সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল এবং জরুরি অবস্থা জারির পর সুদানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। সেনাবাহিনীর গুলিতে সাতজন নিহত ও ১৪০ জন আহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদককে গৃহবন্দি করার পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ মন্ত্রীকে আটক করে সেনাবাহিনী। দেশজুড়ে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। খবর বিবিসির
খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ দমনে রাজধানী খার্তুমের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালাচ্ছে সেনারা। অনেকটা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশটি। স্থগিত করা হয়েছে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। জরুরি অবস্থা ছাড়া সেবাদান বন্ধ রেখেছে দেশটির চিকিৎসক সম্প্রদায়। কাজ বন্ধ রেখেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মীরা।আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের রাজধানী খার্তুমে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানসহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।সুদানে তিন দশক ধরে দায়িত্ব পালন করা ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালের এপ্রিলে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এর তিন মাস পর দেশ পরিচালনায় সামরিক ও রাজনৈতিক দলের নিয়োগ দেওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছিল। ২০২৩ সাল শেষ হওয়ার আগে নির্বাচন আয়োজনের কথা ছিল তাদের।
সুদান পরিচালনাকারী সভরেন কাউন্সিলের প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি ২০২৩ সালের জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লা হ্যামডককে আটক করে অভ্যুত্থানের পক্ষে বিবৃতি দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা না করায় তাকে গোপন কোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়।
সার্বভৌম পরিষদের প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দেশ এখন যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে তরুণদের স্বপ্ন ও জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা ভয়াবহ হুমকি ও বিপদের মুখে পড়েছে।’