ইকবাল হোসেন নামের একজনকে কক্সবাজার থেকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তিনি কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ইকবাল হোসেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন। তিনি বাংলা ম্যাগাজিনকে বলেছেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি এই ব্যক্তিই কুমিল্লার ইকবাল হোসেন। তবে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য কুমিল্লায় পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ যাচাই-বাছাই করে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।’
এর আগে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কুমিল্লার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করে পুলিশ। ইকবাল হোসেন নামে সন্দেহভাজন সেই যুবকের সঙ্গে ঐ ঘটনায় আরো একাধিক যুবক জড়িত বলেও সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার কুমিল্লা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এসব বিষয় নিশ্চিত করা হয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ রাত ১০টার দিকে ‘সুগন্ধা’ সৈকত এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে। এখন কুমিল্লা জেলা পুলিশ পরিচয় নিশ্চিত করবে।বুধবার কুমিল্লা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইকবাল হোসেন (৩৫) নামের স্থানীয় এক যুবক গভীর রাতে মসজিদ থেকে পবিত্র কোরআন নিয়ে ওই পূজামণ্ডপে রেখেছিলেন। ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইকবালের বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন।
এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা করতে যাওয়া একদল ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানে নিহত হন চারজন। পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা–ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় দুজন নিহত হন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দেশের আরও অনেক এলাকায় হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করা হয়।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, নির্দেশনা পেয়ে কিংবা কারও প্ররোচনা ছাড়া ইকবাল হোসেন এটি করেছেন বলে তাঁরা মনে করেন না। তাঁকে ধরতে পারলে বাকি সব উদ্ধার হবে বলে তিনি মনে করছেন।কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা ছিল কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।