আচমকা ঝড়বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে মাঝে মাঝেই। এতটাই ফারাক হচ্ছে দিন-রাতের তাপে যে ঘুমের মাঝে ভোরের দিকে গায়ে চাদর টানতে হচ্ছে। ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “তাপমাত্রার এই বিরাট ফারাকটাই আমাদের শরীর নিতে পারে না। বিশেষ করে যাঁরা একটু দুর্বল বা ইমিউনিটি কম, তাঁদের বেশি সমস্যা হয়। ভাইরাল ফিভার বা সর্দি-কাশিতে তাঁরা কাবু হয়ে পড়েন সাধারণত। আর বৃষ্টির জমা পানিতে কিন্তু মশার বংশবৃদ্ধি হয়। তাই বাড়ির আশে পাশে কোথাও পানি জমতে দেবেন না।”
মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস ঘরবন্দি করে ছেড়েছে গোটা দুনিয়াকে। ডেঙ্গু আর ম্যালেরিয়াও হানা দিচ্ছে খুব দ্রুত। তাই বৃষ্টির পানি কোথাও জমতে দেবেন না। ঝড়ের দাপটে টব ভাঙতে পারে — যত শিগগির সম্ভব সে সব ভাঙা টুকরো সরিয়ে ফেলুন। কোথাও বাতিল টায়ার, নারকেলের খোল ইত্যাদিও পড়ে থাকতে দেবেন না — তাতেও পানি জমতে পারে।
বাড়ি ও তার আশপাশ পানিমুক্ত রাখার পাশাপাশি কয়েকটা নিয়ম মেনে চলুন। বাড়ি ঝাড়পোঁছ করে পরিষ্কার রাখতে হবে। স্থির, বদ্ধ জলে ডেঙ্গুর মশা ডিম পাড়ে। মশা হলে তা নির্মূল করার জন্য যে পদ্ধতি সবচেয়ে কার্যকর মনে হবে তা মেনে চলুন। অনেকে বলেন যে পাতিলেবু অর্ধেক করে কেটে, তার মধ্যে লবঙ্গ গুঁজে ঘরের চারদিকে ছড়িয়ে রাখলে মশা বাড়তে পারে না। এই পদ্ধতি ট্রাই করে দেখতে পারেন।
করোনা ভাইরাসের জেরে যেহেতু আমরা অনেকেই এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি বাইরে কম বের হই, তাই তাপমাত্রার ফারাক হলেও খুব একটা টের পাওয়া যাচ্ছে না। বৃষ্টিতে ভিজে নাকাল হয়ে এসিতেও দুম করে ঢুকছেন না বেশিরভাগ মানুষ। তাই ভাইরাল ফিভার এমনিতেই কম হচ্ছে এ বছর। মোটামুটি সবাই করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিনের আওতায় চলে আসছে। তাছাড়া বাচ্চারও তেমন একটা স্কুলে যাচ্ছে না, সর্দি-কাশি হয়েছে এমন কেউ আপনার খুব কাছাকাছি চলে আসার সুযোগও পাবেন না চট করে। তাই সেই ধরনের সংক্রমণের সংখ্যা কম। কিন্তু ডেঙ্গু আমাদের মাথার উপর জেঁকে বসেছে।