মুখের ধরন অনুযায়ী ভ্রুর আকার

সব মুখে একইরকম শেপ ভালো দেখায় না! আপনার মুখ লম্বা, গোল, ডিম্বাকৃতি, যেমনই হোক না কেন, চোখ বুলিয়ে নিন নিচের তালিকায় আর জেনে নিন কেমন ভুরু সবচেয়ে ভালো মানাবে আপনাকে!আপনার ভুরুর শেপ কেমন হলে সবচেয়ে ভালো দেখাবে তা নির্ভর করে আপনার মুখের শেপের উপর।

লম্বাটে মুখঃ এই মুখে কপাল, গাল আর জ’লাইন মোটামুটি সমান প্রশস্ত। ভুরুর লেংথ কখনও ছোট করবেন না, যতটা সম্ভব দৈর্ঘ্য রাখুন। জোড়া ভুরু এই মুখে মানানসই নয়, তাই দু’ভুরুর মাঝের অংশ পরিষ্কার রাখুন আএ যতটা সম্ভব রোম তুলে দিন যাতে যথেষ্ট জায়গা থাকে।

পানপাতা মুখঃ বাঙালি মেয়েদের মধ্যে পানপাতা মুখের খুব কদর! প্রশস্ত কপাল আর সরু চিবুক মানেই পানপাতা মুখ! ভুরুর ঠিকঠাক শেপ করতে পারলেই কিন্তু চওড়া কপাল ছোট দেখাতে পারে। একটু রাউন্ড শেপে ভুরু থ্রেড করুন, অল্প কার্ভ রাখুন। কপালের চওড়াভাব অনেক কম দেখাবে।

চৌকো মুখঃ এই মুখে জ’ লাইন খুব ডিফাইনড হয়। ফলে ভুরু শেপ করার সময় মাথায় রাখতে হবে যেন স্বাভাবিক মুখের শেপের সঙ্গে ভুরুর শেপের বৈপরীত্য প্রকট না হয়। ভুরুর আর্চ উঁচু করতে পারেন, লেংথও ধরে রাখুন, তাতে মুখ লম্বাটে দেখাবে।

ডিম্বাকৃতি মুখঃ এই মুখের অধিকারিণীরা ভাগ্যবতী কারণ তাঁদের মুখে মোটামুটি সবরকম ভুরুর স্টাইলই মানিয়ে যায়। গোল মুখের সঙ্গে ডিম্বাকার মুখের তফাত হল গোল মুখে যেমন চিকবোনের দিকটা চওড়া হয়, ডিম্বাকৃতি মুখে কপালের দিক চওড়া থাকে। তা ছাড়া চিবুক ছোট আর মুখের দু’পাশ চাপা হয়। খুব অ্যাঙ্গুলার ভুরুর শেপ এড়িয়ে চলুন, নরম হালকা শেপ সবচেয়ে সুন্দর দেখাবে। 

গোলাকৃতি মুখঃ চওড়া চিকবোন আর ছোট্ট চিবুক হল গোল মুখের বিশেষত্ব। আপনার মুখ গোল হলে বাঁকা ধনুক টাইপ ভুরুর শেপ এড়িয়ে চলুন, না হলে মুখ আরও গোল দেখাবে। ভুরু শেপ করার সময় একটু উঁচু করে আর্চ করুন, ভুরুর লেংথ যতটা সম্ভব বেশি রাখবেন। তাতে মুখ একটু লম্বাটে লাগবে।

Exit mobile version