মন্দির-মণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে বিক্ষোভ
গত কয়েক দিন দেশব্যাপী বিভিন্ন মন্দির-মণ্ডপে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী।সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়।এর আগে শিক্ষার্থীরা টিএসসি এলাকায় জড়ো হন জগন্নাথ হলসহ বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে আসেন।পরে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। অবরোধের কারণে শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন, সায়েন্স ল্যাব, বাংলামোটর ও টিএসসি অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিচ্ছেন। স্লোগানে স্লোগানে তাঁরা বলছেন, ‘সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় করতে হবে’, ‘মন্দিরে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি। কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে এবারের দুর্গোৎসবে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা হয়েছে। সংঘর্ষে একাধিক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে গত বুধবার থেকে দেশের অন্তত ১০ জেলায় পূজামণ্ডপ, মন্দিরসহ হিন্দুদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার ঘটনায় ২৮টি মামলায় অজ্ঞাতসহ ৯ হাজার ৫২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত ২২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে জামায়াত-বিএনপির কয়েকজন নেতাও রয়েছেন।
তৌকির আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হচ্ছে। আমরা হামলাকারীদের বিচার দাবি করছি।’উল্লেখ্য, কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার অভিযোগে দেশের কয়েকটি জেলায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, দোকানপাট এবং মন্দির-মণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালে ও পূজা শেষ হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও মণ্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর ও প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন। গতকাল রোববার আলাদা বিবৃতিতে তারা এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি করেছে।