এক্সক্লুসিভক্রিকেটখেলাবাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক সাকিব আল হাসান

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০৭ উইকেট নিয়ে বহুদিন ধরে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির মুকুট পরেছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। লঙ্কান পেসারকে ছাড়িয়ে রেকর্ডটি এখন সাকিব আল হাসানের। রোববার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে বল হাতে দুই উইকেট নেন সাকিব। এতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার শিকার দাঁড়ায় ১০৮ উইকেটে। মাসকাটের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে স্কটিশ ব্যাটার রিচি বেরিংটনের উইকেট নিয়ে মালিঙ্গাকে স্পর্শ করেন সাকিব। এক বল পরই মাইকেল লিস্ককে সাজঘরের পথ দেখিয়ে রেকর্ড ভেঙে দেন বাংলাদেশের এ বাঁহাতি স্পিনার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৮৪ ম্যাচে ১০৭ উইকেট শিকার মালিঙ্গার। সাকিবের ১০৮ উইকেট পূর্ণ হলো তার ৮৯তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে।

রিচি বেরিংটনকে ফিরিয়ে পেয়েছিলেন প্রথম উইকেট। এক বলের ব্যবধানে মাইকেল লিস্কও একইভাবে সাকিব আল হাসানের শিকার। এই উইকেটের সঙ্গেই রেকর্ড বইয়ে নাম উঠে গেছে বাংলাদেশের বাঁহাতি তারকার। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে তিনিই এখন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার।

মালিঙ্গাকে ছোঁয়ার অপেক্ষা সাকিবের অনেকদিনের।নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেই চলছে এই ক্ষণগণনা। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দুটি করে উইকেট নিয়ে মালিঙ্গার সঙ্গে ব্যবধান ১ উইকেট নামিয়ে এনেছিলেন সাকিব। কিন্তু শেষ টানা দুই ম্যাচে উইকেটবিমুখ থাকেন সাকিব।

টি-টোয়েন্টিতে উইকেট নেওয়ায় মালিঙ্গা-সাকিবের ঠিক পেছনেই আছেন নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। ৮৩ ম্যাচে ৯৯টি উইকেট ৩২ বছর বয়সী এ পেসারের। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি ৯৮ উইকেট নিয়ে চারে থাকলেও তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আগেই অবসরে গেছেন। 

পাঁচে থাকা রশিদ খানের সুযোগ রয়েছে এদের সবাইকেই ছাড়িয়ে যাওয়া। আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনারের বয়স বিবেচনায় পড়ে আছে বড় ক্যারিয়ার। ৫১ ম্যাচেই তিনি এরমধ্যে নিয়ে নিয়েছেন ৯৫ উইকেট।রেকর্ড গড়ার দিনে সব সংস্করণ মিলিয়ে ৬০০ উইকেটও হয়ে গেল সাকিবের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬০০ উইকেট নেওয়া ২৩তম বোলার তিনি। তবে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে দ্বিতীয়। ৭০৫ উইকেট এই তালিকায় উপরে আছেন ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। 

২০০৬ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথম উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। প্রথম ৫০ উইকেট নিয়েছিলেন ৪২ ম্যাচ ও ১০ বছর সময় নিয়ে। পরের ৫০ উইকেট পেতেও তার খেলতে হয়েছে ৪২ ম্যাচ। তবে পরের ৫০ উইকেট পেতে সাকিবের লেগেছে মাত্র ৫ বছর।

Back to top button