আইপিএলে শিরোপা জিতে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস
ম্যাচের তখনও দুই বল বাকি। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পরাজয় স্পষ্ট হয়ে গেছে ততক্ষণে। স্বাভাবিকভাবেই তাই কলকাতা শিবিরে চোখেমুখে হতাশা, চেন্নাইয়ে উচ্ছ্বাস। কিন্তু একজন একদমই নির্লিপ্ত। তার ‘হিসাব-নিকাশে’ ব্যস্ত। মহেন্দ্র সিং ধোনি তো এমনই। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যক্তিত্ব জিতলেন নিজের চতুর্থ আইপিএল শিরোপা।
শুক্রবার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই আগে ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাড় করে। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের বেশি করতে পারেনি সাকিবদের কলকাতা।২৭ রানের জয়ে আইপিএলের চতুর্থ শিরোপা ঘরে তোলে চেন্নাই। আর তৃতীয় শিরোপা জেতা থেকে বঞ্চিত হয় কলকাতা।
কত কত রোমাঞ্চকর ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে এই টুর্নামেন্ট। ফাইনালে তেমন কিছু হলে মন্দ কী। ভেঙ্কাটেশ আয়ার ও শুভমন গিল যতক্ষণ ব্যাট করছিলেন; সেই আশা ছিলও। কিন্তু কলকাতার ইনিংস যত এগিয়েছে, ক্ষীণ হয়েছে তাদের ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা।দুই ওপেনার ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই যে দলের হাল ধরতে পারেননি। শেষ অবধি নিরুত্তাপ এক ফাইনালে ২৭ রানে জিতেছে চেন্নাই। ঘরে তুলেছে চতুর্থ আইপিএল শিরোপা।
২০১৪ সালে ফাইনালে কেকেআরের প্রতিপক্ষ ছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। সেবার ঋদ্ধিমান সাহার অসাধারণ সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে পাঞ্জাব স্কোরবোর্ডে রান তুলেছিল ১৯৯। কলকাতা ৩ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটের ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়।
শুক্রবার দুবাইয়ে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা। শুরুতে কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও পরে ঝড় তুলেন চেন্নাই সুপার কিংস ব্যাটসম্যানরা। বিশেষত দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ফাফ ডু প্লেসিস।৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ বলে ৮৬ রান করেন তিনি। অবশ্য ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফিরতে পারতেন তিনি। সাকিব আল হাসানের বলের লাইন মিস করেছিলেন তিনি। কিন্তু স্টাম্পিং করার জন্য বল হাতেই রাখতে পারেননি কলকাতার উইকেটরক্ষক দিনেশ কার্তিক। শেষ অবধি ডু প্লেসিসই হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।
চেন্নাইকে জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল কলকাতার। ওপেনার শুভমন গিল কিছুটা ধীরে খেললেও ভেঙ্কাটেশ আয়ার ছিলেন দুর্দান্ত। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ বলে ৫০ রান করে আউট হন আয়ার। তার বিদায়ে ভাঙে ৯১ রানের উদ্বোধনী জুটি। এর মধ্যে একবার আউট হয়েছিলেন গিল। তবে রাইডু ক্যাচ নেওয়ার আগেই বল ডেড হওয়ায় বেঁচে যান তিনি।ফাইনালে দারুণ ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরা হন ফাফ ডু প্লেসি।
চেন্নাইয়ের ওপেনার গায়কড় এই আসরে ১৬ ইনিংসে ৬৩৫ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে অরেঞ্জ ক্যাপ জিতেছেন। দুই রান কম করা একই দলের আরেক ওপেনার ডু প্লেসি দ্বিতীয় হয়েছেন। এক আসরের রেকর্ড ৩২ উইকেট পেয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হার্শাল প্যাটেল পারপেল ক্যাপ জিতেছেন। তিনি আইপিএলের ইতিহাসে যৌথভাবে ডোয়েন ব্রাভোর সঙ্গে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হলেন।