বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ফুসলিয়ে লালসা চরিতার্থ

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বিয়ের প্রলোভনে এক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ফুসলিয়ে লালসা চরিতার্থের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল অভিযুক্ত ওই তিন সন্তানের জনককে চাঁদপুর জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশ।

শাহরাস্তি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আঃ মান্নান জানান, অভিযুক্তকে আটক করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর সরকারি হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার সুচিপাড়া উত্তর ইউপি’র শোরসাক গ্রামের মিয়াসাব বাড়ির মৃত নূর মোহাম্মদের পুত্র মো. মিজান (৪৪) শোরসাক বাজারে একজন (চা-পান) বিক্রেতা।

ওই কিশোরীর একই বাড়ির সম্পর্কে ভাতিজি হওয়ায় প্রায় সে মিজানের দোকানে যাওয়া-আসা করতো। একপর্যায়ে বাকপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর প্রতি কুদৃষ্টি পড়ে মিজানের। এতে সে বিভিন্ন ফন্দি আটে। তারপর অসহায় দরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরীকে বিভিন্ন প্রলোভন ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ১১ই জুন দুপুরে তার ইচ্ছে চরিতার্থ (ধর্ষণ) করে। ওই থেকে একটানা দীর্ঘদিন বিভিন্ন সময় ভয় দেখিয়ে ধর্ষণে মেতে ওঠে মিজান।

এতে ওই কিশোরী (অন্তঃসত্ত্বা) হয়ে তার মাঝে আরেকটি শিশুর অস্তিত্ব বেড়ে উঠতে শুরু করলে বিষয়টি তার মায়ের দৃষ্টিগোচর হয়।মিজান এটি ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য সালিশে নিজের অপরাধ স্বীকার করে গ্রাম্য মাতবরদের সহযোগিতায় নিষ্পত্তির পাঁয়তারা চালায়। এতে কিশোরীর পিতা সন্তুষ্ট না হয়ে গত বুধবার (১৩ অক্টোবর) শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি মামলা করে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে থানা উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. রোকন উদ্দিন রাতেই অভিযুক্তকে আটক করে।

তার মা-ও স্বজনদের জেরার মুখে কিশোরী মিজানের ওই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা খুলে বলে। পরে তার মা বিষয়টি নিশ্চিত হতে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার বিমল চন্দ্র শীলের নিকট মেয়েকে নিয়ে যান। বিষয়টি ক্রমে পরিবারের গণ্ডি অতিক্রম করে স্থানীয়দের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।

Exit mobile version