আইন-আদালতএক্সক্লুসিভকুমিল্লা

কুমিল্লা শান্ত বিজিবি’র টহল অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ

দিনব্যাপী উত্তেজনার পর কুমিল্লা এখন শান্ত। শহরে বিজিবি টহল দিচ্ছে। মোড়ে মোড়ে র‌্যাব, পুলিশ, আনসার মোতায়েন রয়েছে। গতকাল সকালে শহরের নানুয়া দীঘির পাড় এলাকার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে উত্তেজনা তৈরি হয়। শুরু হয় বিক্ষোভ। এ সময় সংঘর্ষে পুলিশের ৩ কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

কুমিল্লার একটি একটি মন্দিরকে নিয়ে বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে তারাও তোপের মুখে পড়ে। সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।দুপুরের দিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।

জানা যায়, নানুয়া দীঘির পাড় এলাকার ওই পূজামণ্ডপ থেকে পবিত্র কোরআন উদ্ধার করে পুলিশ।এ খবর চাউর হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ওদিকে বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে যান এবং বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। পরে নগরীর কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ, চকবাজার, টমছমব্রিজসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এক বিবৃতিতে বলেন, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননা সংক্রান্ত খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেছি। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যে-কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। সবাইকে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।

দুপুরের পর নগরীতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে নগরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মহড়ার ব্যবস্থা করা হলে পরিবেশ শান্ত হয়। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, পূজামণ্ডপ থেকে পবিত্র কোরআন শরীফ পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকার সিসি ফুটেজ পরীক্ষা ও তদন্ত করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফজলে রাব্বি একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিক করে জানান, কুমিল্লায় যেন কোনো ধরনের ‘আনরেস্ট’ পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তাই দুপুরে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

Back to top button