প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে একই ছাদের নিচে তিন বছর ঘর-সংসার করেও নার্সিংয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে এবার প্রেমিককে বিয়ে করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন কলেজছাত্রী তন্নি। সুষ্ঠু সমাধানের আশায় মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রেমিক ফারুক।
ফারুক জানায়, ৬ বছর আগে মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের শ্বশধরপট্টি গ্রামের তোতা মিয়ার মেয়ে নাসরিন আক্তার তন্নির (২১) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বহুরিয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মো. হোসেন আলীর ছেলে ফারুক হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের এক পর্যায়ে তারা দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু নাসরিনের নার্সিং-এ পড়ার ইচ্ছা থাকায় তারা রেজিস্ট্রিমূলে গিয়ে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক কালেমা পড়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। নিয়ম আছে, টাঙ্গাইল কুমুদিনী নার্সিং কলেজে কেবল তারাই অধ্যয়ন করতে পারেন, যারা অবিবাহিত। ফলে তিন বছর একই সঙ্গে ঘর-সংসার করলেনও বিষয়টি গোপন রাখেন দুজন। সে সময় নাসরিন ফারুককে প্রতিশ্রুতি দেয়, তার নার্সিং-এ লেখাপড়া শেষ হলে ঘরোয়াভাবে বিয়ের আয়োজন করবেন। সংসার চলাকালীন নাসরিনকে স্বর্ণালঙ্কার ও সবধরনের ভরণপোষণ দেন প্রেমিক ফারুক।
কুমুদিনী নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ রীনা ক্রুশ বলেন, আমরা নাসরিনের বিয়ের বিষয়টি অবগত নই। তবে অভিযোগের সত্যতা পেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।মির্জাপুর থানার এস.আই একরামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগে তিনি বলেন, অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছি। ছেলে ও মেয়ের এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বিয়ের সত্যতা না পেলেও তাদের দু’পরিবারের মাঝে সুসম্পর্ক রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
সম্প্রতি গত ৬ মাস নাসরিন ফারুককে অবহেলা করে আসছেন। এক পর্যায়ে তিনি ফারুককে জানান, ফারুককে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ জানতে চাইলে তিনি নানা টালবাহানা করেন এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অভিযুক্ত নাসরিন আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।