দুর্নীতির মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলায় এ সাজা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর)। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম রায় ঘোষণা করেন।
আজ সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বাবরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাঁর উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা জারি করে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তায় বাবরকে আদালতে আনা হয়। বাবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।রায়ে ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় ৩ এবং ৫ বছর মোট ৮ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডেরও আদেশ এসেছে রায়ে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাভোগ করতে হবে। সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
২০০৭ সালের ২৮ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হন বাবর। ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা করা হয়। মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়। কিন্তু দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন তিনি।তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংকের দুইটি এফডিআরে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপন করার অভিযোগ করা হয়।