মুজিবুল হক চুন্নু জাতীয় পার্টির নতুন মহাসচিব

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নুকে পার্টির নতুন মহাসচিব করা হয়েছে। শনিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এক সাংগঠনিক আদেশে তাকে মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন।গত ০২ অক্টোবর পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু’র মৃত্যুজনিত কারণে মহাসচিবের পদটি শূন্য হওয়ায় আজ এ নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। 

জাপার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলের চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের শনিবার সাংগঠনিক আদেশে চুন্নুকে মহাসচিব নিয়োগ দেন।বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জাপার গঠনতন্ত্রের ২০/১ (১) ক উপধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যানের আদেশ শনিবার থেকে কার্যকর হবে।

মুজিবুল হক চুন্নু ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মহাজোট প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ৬২ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।

পদ পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, একটু আগে আমার সঙ্গে দলের চেয়ারম্যানের (জিএম কাদের) কথা হয়েছে। তিনি আমাকে দলের মহাসচিবের দায়িত্ব দিয়েছেন। এখন আমার দায়িত্ব হলো আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী করা। দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করা।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মহাজোট থেকে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকারের তৃতীয় মন্ত্রিসভায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

জাপার একটি সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ দলের চেয়ারম্যান গোলাম (জি এম) মোহাম্মদ কাদেরের কাছে জাপার পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে মুজিবুল হক চুন্নু ও রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার নাম প্রস্তাব করেন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে থাকা জাতীয় পার্টির মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। এরপরই মহাসচিবের পদটি শূন্য হয়। 

এর আগে এবিএম রহুল আমিন হাওলাদার বিভিন্ন মেয়াদে প্রায় ১৯ বছর জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা আগে একবার মহাসচিব ছিলেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের তাকে সরিয়ে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে মহাসচিব করেন।

Exit mobile version