অপরাধচট্টগ্রাম

ছিনতাইয়ের নাটক

ছিনতাইকারীদের ছুরির আঘাতে হাতে পড়ে ১৯টি সেলাই। আহত অবস্থায় নেওয়া হয়েছিল চমেক হাসপাতালে। সঙ্গে টাকা যা ছিল সবই ছিনতাইকারীরা নিয়ে যায়। এ সবই ছিল সাজানো নাটক। চট্টগ্রামে এক মালিকের ৮০ হাজার টাকা মেরে দেওয়ার জন্য ছিনতাইয়ের এই নাটক সাজিয়েছিলেন আলাউদ্দিন (৫৫) নামে এক কর্মচারী। তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন শেখ ফরিদ পলাশ (২৫) নামে আরেক কর্মচারী। তবে তাঁদের শেষ রক্ষা হয়নি।

গত ৩ অক্টোবর এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা নেওয়ার জন্য আলাউদ্দিনকে কক্সবাজারে পাঠানো হয়। ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে এলেও আলাউদ্দিন ওই দিন রাতে দোকানে ফেরেননি। পরে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রাত ১টা নাগাদ দোকানের আরেক কর্মচারী পলাশ দোকানের মালিককে ফোন করে জানান আলাউদ্দিন দোকানে এসেছেন, তাঁর অবস্থা ভালো না। তাঁকে মেডিকেলে নিয়ে যেতে হবে।  এ সময় পলাশ জানান, নগরীর আলংকার মোড়ে ছিনতাইকারীরা তাঁকে মেরে টাকাপয়সা সব ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। রাত ৩টা নাগাদ পলাশ আবারও ফোন করে মালিককে জানান, আলাউদ্দিনকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁর হাতে ১৯টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

পরদিন আড়ত ব্যবসায়ী তাঁদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। এ সময় তাঁরা দুজনকে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে দেখে সন্দেহ হয়। পরে ওই ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ করেন।গতকাল মঙ্গলবার কোতোয়ালী পুলিশ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এদের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, রিয়াজউদ্দিন বাজারের কাঁচামালের আড়ত ব্যবসায়ী মো. মহিউদ্দিনের কর্মচারী হিসেবে দুই বছর ধরে কাজ করছেন আলাউদ্দিন। আলাউদ্দিন বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কাঁচামাল বিক্রি বাবদ টাকা সংগ্রহ করে দোকানে এসে মালিকের কাছে জমা দিতেন।

ওসি নেজাম বলেন, পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে ওই দিন এ ধরনের কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত হয়। পরে তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাঁরা টাকাগুলো সরিয়ে ফেলার কথা স্বীকার করেন। একপর্যায়ে তাঁদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।ওসি বলেন, ছিনতাই নাটক সাজানোর জন্য আলাউদ্দিন ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটেছিলেন। পরে তাঁর ওপর ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দেন।

Back to top button