চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে নৌকাডুবির ঘটনায় নানি ও নাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটাশজন নিখোঁজ রয়েছেন।বুধবার দুপুরে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের পাঁকা ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।মৃতরা হলেন- পাঁকা ইউনিয়নের ২০ রশিয়া গ্রামের খাইরুল ইসলামের স্ত্রী নিলুফা বেগম (৫২) এবং তার নাতি মায়েসা খাতুন (৫)।
নৌকাটিতে প্রায় ৫০ যাত্রী ছিলেন। বাকি ব্যক্তিদের সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়েছে।জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২০ জনকে। ইউনিয়নের পাকার বোগলাউড়ি থেকে দশরশিয়া ঘাটে যাওয়ার পথে মাঝনদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
নিহত নিলুফা বেগমের দেবর ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য দুরুল হুদা জানান, নৌকায় নিলুফা বেগমের স্বামী খাইরুল ইসলাম, নাতি মো. আসমাউলসহ (৯) আরও দুই স্বজন ছিলেন। খাইরুল ও আসমাউলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।নৌকার মাঝির বরাত দিয়ে দুরুল হুদা বলেন, নিম্নচাপের কারণে নদীতে বাতাস ও ঢেউ ছিল। ঢেউয়ের কারণে নৌকায় পানি উঠে পড়ে। এ কারণে নৌকা ডুবে যায়। যাত্রী ছিল ৩৫ থেকে ৪০ জন।
স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি ফরিদ হোসেন জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে বগলাউড়ি ঘাট এলাকা থেকে পণ্য ও যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা ১০ রশিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় পদ্মা নদীতে স্রোতের তোড়ে তলিয়ে গেলে সব যাত্রী ডুবে যান। এদের মধ্যে স্থানীয়রা দুইজনের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে। ওসি আরও জানান, নৌকাটিতে অন্তত ৪০ জন যাত্রী এবং পণ্য ছিল। খবর পেয়ে শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে।
জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে ছাবের আলী প্রামাণিক বলেন, দশরশিয়ায় ছিল হাটবার। এ জন্য নৌকায় আলু, বেগুনের বস্তা ও ডাব ছিল। বেশ কয়েকটি বাইসাইকেলের পাশাপাশি যাত্রীদের বসানো হয়েছিল গাদাগাদি করে। এতে যাত্রীরা আপত্তি করলেও তাঁদের কথা শোনা হয়নি। অতিরিক্ত বোঝাইয়ের কারণে নৌকাটি ডুবি যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারকাজে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে বিজিবিও যোগ দেয়। রাজশাহী থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত ও ঢেউ থাকায় উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হয়।ইউএনও সাকিব আল রাব্বি জানান, অন্ধকার নেমে আসায় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযান আবার শুরু হবে।