প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ৮০ লাখ টিকা দেওয়া হবে

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মঙ্গলবার সারাদেশে করোনাভাইরাসের ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৭৫ লাখ এবং নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় দেওয়া হবে আরও পাঁচ লাখ টিকা। ২৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা এ টিকা পাবেন। তবে এ ক্ষেত্রে টিকাগ্রহীতার আগে নিবন্ধন করা থাকতে হবে এবং মোবাইল ফোনে মেসেজ পেতে হবে। টিকা নেওয়ার জন্য সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিকা কার্ড সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

 কাল বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারা দেশের সব ইউনিয়ন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় দেওয়া হবে এই টিকা। যারা ইতোমধ্যে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন তাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। রোববার দুপুরে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই বিশেষ টিকা কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আপাতত একদিনের জন্য চলবে এ ক্যাম্পেইন। তবে এর পাশাপাশি নিয়মিত টিকাদানও চলবে। বর্তমানে দৈনিক ৬ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।

টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তি, নারী ও প্রতিবন্ধীরা। ইতোমধ্যে দেশের সব কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় টিকাসহ সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে এসব কথা বলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনটি স্মরণীয় রাখতে ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল নয়টা থেকে বিশেষ টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। যারা গ্রামে থাকে, দরিদ্র জনগোষ্ঠী, বয়স্ক তারা এই কার্যক্রমে টিকা নিতে পারবে। যারা নিবন্ধন করে এসএমএস পাননি, তারা এই কার্যক্রমে অগ্রাধিকার পাবেন। এই কার্যক্রমে শুধু প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে। কার্যক্রমে অধিকাংশ টিকা দেওয়া হবে সিনোফার্মের।

 স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, স্তন্যদানকারী মা ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের এ ক্যাম্পেইনের আওতায় টিকা দেওয়া হবে না। তিনি আরও জানান, উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নে কোনো ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে একটি বুথ, পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্র্রে একটি বুথ, সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি বুথের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। সারাদেশে আগে থেকে যেসব কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চলছিল, সেগুলো অব্যাহত থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, টিকা পেতে যে কেন্দ্রে নিবন্ধন করেছেন, সে কেন্দ্রেই টিকা নিতে হবে। ২৮ সেপ্টেম্বরের আগেই টিকার জন্য মোবাইলে এসএমএস চলে যাবে। এর আগে গণটিকায় ৪৫ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছিল, এবার আরও বড় পরিসরে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপনারা জানেন, প্রথমদিকে নিবন্ধন একবারে অনেক হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে আমাদের একটি জট তৈরি হয়েছিল। কোনো কোনোদিন ২০ থেকে ২৫ লাখ লোকের নিবন্ধন হয়েছিল। এখন আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকা আছে, এখন আর জট থাকবে না।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যারা ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকার যে কোনো হাসপাতালে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন কিন্তু এখনও এসএমএস পাননি, শুধু তারাই এ কার্যক্রমের আওতায় টিকা নিতে পারবেন। তবে ষাটোর্ধ্ব বয়সের কেউ নিবন্ধন না করলেও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে এলে টিকা দেওয়া হবে। যারা প্রথম ডোজের টিকা নেবেন, ২৮ অক্টোবর ওই কেন্দ্র থেকেই দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে হবে।

Exit mobile version