হিজাব পরার কারণে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে শারীরিক হামলার শিকার হয়েছেন এক মুসলিম নারী। এ ছাড়া তিনি জাতিগত আক্রমণের শিকারে পরিণত হন। ওই নারীর নাম বাড়া বালাত। তিনি তুরস্কের সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদোলু’কে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, এ ঘটনা আমাকে একেবারে হতাশ করেছে। এবারই প্রথম এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি। জানি না এ জন্য কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেবো। তিনি জানান, ভিয়েনা শহরে একটি বাসের ভিতর এ ঘটনা ঘটেছে।
বালাত এ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বলেছেন, আমি মনে করেছি এর বিরুদ্ধে আমাকে দাঁড়াতে হবে এবং সবাইকে জানা উচিত। হিজাব পরি বা না পরি, গায়ের রং বা জাতি যাই হোক না কেন, কারো সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়। আর এ ঘটনাকে কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন বাসের ভিতর একজন নারী আমার দিকে এগিয়ে এলেন।আমি যেহেতু হিজাব পরেছি তাই আমি কুসংস্কারের মধ্যে আছি। এটা বলে তিনি আমাকে তুরস্কে ফিরে যেতে বলেন, যদিও আমি তুরস্ক থেকে যাইনি ভিয়েনায়। তিনি আরো জানান, তার বিরুদ্ধে জাতিগত যে হামলা চালানো হয়েছে, তা তিনি উপেক্ষা করে বাসের ভিতর দিয়ে সামনে এগিয়ে যান। কিন্তু ওই নারী তার পিছু ছাড়েননি। অব্যাহতভাবে তাকে অবমাননা করতে থাকেন। জাতি নিয়ে আপত্তিকর কথা বলতে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে তিনি আমার ওপর থুথু ছিটান। এর পূর্ব পর্যন্ত আমি তাকে উপক্ষো করছিলাম। এ ঘটনাটি ঘটে করোনা মহামারির মধ্যে। কে জানে, তিনিও করোনা ভাইরাস বহন করে থাকতে পারেন। এ অবস্থায় আমি বাস থেকে নেমে যাই। কিন্তু তিনি আমাকে অনুসরণ করতেই থাকেন। আমার হিজাব ধরে সজোরে টান মারেন। এত জোরে তিনি টান দেয়ায় হিজাবের সঙ্গে ব্যবহার করা সূচাকার ক্লিপ আমার চিবুকে বিঁধে যায়। আমি চিৎকার করি। কিন্তু তিনি থামেন না। আমি মোবাইল ফোন বের করে তার ছবি তোলা শুরু করলে তিনি নিবৃত হন। এ সময় তিনি রাস্তা পাড় হয়ে অন্য প্রান্তে চলে যান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি পোস্ট দেয়ার পর বহু মানুষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাকে শুভ কামনা জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। বালাত বলেছেন, এ নিয়ে তিনি স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।