লাওসে বাদুরের দেহে নতুন তিনটি ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যেগুলোর কোভিডের ভাইরাস সার্স-কোভ-২ এর সঙ্গে মিল রয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, কোভিডের ভাইরাসের একটি প্রাকৃতিক পূর্বপুরুষ রয়েছে। গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস গবেষক ডেভিড রবার্টসন বলেন, এই আবিষ্কার একইসঙ্গে বিস্ময়কর আবার ভয়ংকরও। কারণ এখন জানা যাচ্ছে, মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে এমন আরো করোনাভাইরাসের ধরণ প্রকৃতিতেই রয়েছে।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এডওয়ার্ড হোমস বলেন, যখন সার্স-কোভ-২ এর প্রথম সিকুয়েন্স করা হয় তখন এর রিসিপ্টর বাইন্ডিং ডোমেইনের সঙ্গে কারো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই তখন ধারণা করা হয়েছিল যে এই ভাইরাস আসলে ল্যাবরেটরিতে বানানো।
গবেষণায় বলা হয়েছে, নতুন খুঁজে পাওয়া ভাইরাসগুলোর রিসিপ্টর বাইন্ডিং ডোমেইন প্রায় পুরোপুরি সার্স-কোভ-২ এর মতো। ফলে এগুলো মানব কোষকে আক্রান্ত করতে সক্ষম বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গবেষকরা উত্তর লাওস থেকে ৬৪৫টি বাদুরের লালা, প্রস্রাব ও মল সংগ্রহ করেন। এরমধ্যে তিনটি প্রজাতির মধ্যে তারা এমন ভাইরাস খুঁজে পান যার সার্স-কোভ-২ এর সঙ্গে ৯৫ শতাংশ মিল রয়েছে।
তবে লাওসে পাওয়া নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস প্রমাণ করেছে যে, এ ধরণের ভাইরাস প্রকৃতিতেই রয়েছে। আমি এখন যে কোনো সময়ের থেকে বেশি নিশ্চিত যে সার্স-কোভ-২ এর প্রাকৃতিক পূর্বপুরুষ রয়েছে। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, এখন যে করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে মহামারি সৃষ্টি করেছে এটির মতো নতুন করোনাভাইরাসগুলোও মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। এর রিসিপ্টর বাইন্ডিং ডোমেইন মানুষের এসিই২ রিসিপ্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোভিডের প্রথম দিকের ভ্যারিয়েন্টগুলোর মতই সংক্রমিত হতে পারে।