জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কৃষক-শ্রমিক-আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠনের ভূয়সী প্রশংসা করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমি বাকশাল সমর্থন করি। নিন্দুকেরা এটা নিয়ে অনেক কথা বলে। বাকশাল কৃষকের কল্যাণেই হয়েছিল।বুধবার নগরীর এনইসি সম্মেলনকক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন:কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির রূপান্তর’ শীর্ষক এক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু বাকশার গঠনের সময় সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন মান্নান। চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে সংসদ সদস্য হন তিনি। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে এখন মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
বাকশাল গঠনের পর সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার সমালোচনা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষ্যে, দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এক করে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু তখন ওই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
এই আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “জামায়াত, ধর্মান্ধ, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের সাথে সম্পর্ক রেখে বিএনপি কোনোদিনই আর এদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।“আমরা দেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনার ধারক একটি বিরোধী দল চাই।”
কৃষিখাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কৃষিখাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কৃষকের উন্নয়নের ভিত বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই। বঙ্গবন্ধুর ভিতের ওপরে বহুতল ভবন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফার্মগেটের বিএআরসির (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল) জায়গায় এক সময় হোটেল নির্মাণ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কারণেই বিএআরসি ভাঙা সম্ভব হয়নি। কৃষকের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু সব সময় দরদী ছিলেন।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) প্রতি হতাশা প্রকাশ করে ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিআইডিএসের অনেক সক্ষমতা আছে। বিআইডিএস থেকে আমরা আরও ভালো কিছু আশা করি কিন্তু, পাচ্ছি না। বিআইডিএসে যাতে করে দেশের সেরা মেধাবীরা আসতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
এই আলোচনা অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী বক্তব্য রাখেন।