অর্থ ও বাণিজ্যআইন-আদালতঢাকা

হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাঃ ইভ্যালির সম্পত্তি বিক্রি-হস্তান্তর

ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির সম্পদ বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তর থেকে বিরত থাকতে কোম্পানিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদেশে বলা হয়, বিক্রি, হস্তান্তর বা অন্য কোনো উপায়ে ইভ্যালির সম্পদে কেউ হাত দিতে পারবে না। এক গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী (কোম্পানির চেয়ারম্যান) শামীমা নাসরিনকে  ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক গ্রাহকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ (কোম্পানি) এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এম মাসুম, সৈয়দ মাহসিব হোসেন।

এর আগে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং মোহাম্মদ কাওছার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন জানান, আবেদনকারী ইভ্যালি অনলাইন শপিংমলে গত মে মাসে একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের অর্ডার করেন। অর্ডারের সময় তিনি মোবাইলফোন ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবার মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করেছেন। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে একটি পণ্য কেনার রশিদও দিয়েছেন। কিন্তু এতদিনেও তারা পণ্যটি বুঝিয়ে দেননি। আবেদনকারী যোগাযোগ করার পর তাকে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু পণ্যটি দেওয়া হয়নি কিংবা টাকাও ফেরত দেয়নি। এরপর তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন।

আবেদনে ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে বিবাদী করা হয়।

Back to top button