ময়মনসিংহের নান্দাইল মডেল থানার পুলিশ শনিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে নান্দাইল উপজেলার শ্রীরামপুর সড়কে পড়ে থাকা ইয়াসমীন (৩৪) নামের এক নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের নানা স্থানে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে।
গাংগাইল ফিশারি মোড় থেকে একটি সড়ক কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া বাজারে গিয়ে মিলেছে। সেই সড়কের মদনপুর-যুগের হাওর এলাকায় অন্ধকার ও নির্জন জায়গা থেকে সন্ধ্যার পর এক শিশুর কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছিল। সেই কান্নার আওয়াজের উৎস খুঁজতে আশপাশ থেকে লোকজন ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান এক নারীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। পাশে বসে তিন বছর বয়সী এক কন্যাশিশু অনবরত কেঁদে যাচ্ছে।
গাংগাইল ইউপির সদস্য আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে জানান, ইয়াসমীন নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামের মো. সিরাজের মেয়ে। আট-দশ বছর আগে নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। ওই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নারীর লাশ উদ্ধার করে। যে স্থানে লাশ পড়ে ছিল, সেখান থেকে ওই নারীর শ্বশুরবাড়ির দূরত্ব প্রায় আধা কিলোমিটার। বাড়িতে গিয়ে নিহত নারীর স্বামী সাদ্দাম হোসেনকে পাওয়া যায়নি।
গ্রামের একটি সূত্র জানিয়েছে, সন্ধ্যার দিকে ইয়াসমীন তাঁর শিশুকন্যাকে (৩) নিয়ে বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন। নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু আলামত পাওয়া গেছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।