বিচারের মুখোমুখি অং সান সুচি
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল এনএলডিকে উৎখাত করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। সে সময় তারা সুচির দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিল। তবে, জালিয়াতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল দেশটির নির্বাচন কমিশন। তখন থেকেই সুচিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তারপর থেকে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের জনগণ। চলমান বিক্ষোভে সামরিক বাহিনীর হাতে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন আট হাজার।
ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচিকে দুর্নীতির মামলায় অক্টোবরে বিচারের মুখোমুখি করতে যাচ্ছে দেশটির জান্তা সরকার।শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সু চির আইনজীবী খিন মং জাও এ খবর জানিয়েছেন। দুর্নীতির এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ন্যূনতম ২০ বছরের জেল হতে পারে তার।সুচির আইনজীবী খিন মং জাও বলেন, দুর্নীতির চার মামলায় রাজধানী নেইপিডোর এক আদালতে বিচারের মুখোমখি হবেন ৭৬ বয়সী গৃহবন্দি সুচি।
করোনার কারণে প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর চলতি সপ্তাহে অন্যান্য মামলায় (করোনা বিধি লঙ্ঘন এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও রাষ্ট্রদ্রোহ) সুচির বিচারকাজ শুরু হয়েছে। তবে, অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। বিচারিক কার্যক্রমে সাংবাদিকদের প্রবেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।