অপরাধঅর্থ ও বাণিজ্যঢাকা

ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে চেয়েছিল রাসেল

ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের দেশীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ ইভ্যালিকে বিক্রি অথবা দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিলো বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা জানান।

গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছে ইভ্যালির দেনা বেড়ে এক হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। র‍্যাব বলছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এমন তথ্য দিয়েছেন। র‍্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানান,  গত ফেব্রুয়ারিতেও এই দেনার পরিমাণ ছিল ৪০৩ কোটি টাকা। গ্রাহকের এই টাকা কীভাবে ফেরত দেওয়া হবে, র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। সর্বশেষ দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনাও ছিল রাসেলের।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে মোহাম্মদপুরে স্যার সৈয়দ রোডের নিলয় কমপ্রিহেনসিভ হোল্ডিংয়ের (হাউজ নম্বর ৫/৫এ) বাসা থেকে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে আটক করে র‍্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, ইভ্যালিতে মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিনিয়োগ ছিল খুবই কম। তাঁদের ব্যবসায়িক কৌশল ছিল নতুন গ্রাহকের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়ে পুরোনো গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের দেনা আংশিক পরিশোধ করা। তাঁরা ‘দায় ট্রান্সফারের’ মাধ্যমে ব্যবসা করছিলেন। মো. রাসেল জেনেশুনেই এই নেতিবাচক কৌশল গ্রহণ করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

গ্রাহকদের দায় মেটাতে বিভিন্ন অজুহাতে সময় বাড়ানোর আবেদন মো. রাসেলের একটি কৌশল বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন খন্দকার আল মঈন। তিনি জানান, দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ইভ্যালির সিইও দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা করেছিলেন।

এর আগে বুধবার গভীর রাতে ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ইভ্যালি পণ্য বিক্রির নামে নানা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাঁর মতো অসংখ্য গ্রাহকের ৭০০-৮০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

Back to top button