অনুপ পোদ্দার ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী। সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের আড়ালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে পরিচয় দেন বিপত্নীক হিসেবে। সেই সঙ্গে মুসলিম পরিচয়ে, ভুয়া ঠিকানা ও অন্যের ছবি ব্যবহার করে ‘মনির খান ও হারুন’ নামে ফেক আইডি খোলেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ম্যাচ মেকিং সাইট- যেমন পাত্র/পাত্রী চাই, ম্যারেজ মিডিয়া থেকে স্বামী পরিত্যক্তা বা ডিভোর্সি মেয়েদের টার্গেট করেন। এর পর ধীরে ধীরে সম্পর্কের গভীরতার একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখান। ঘনিষ্ঠতার একপর্যায়ে তাদের ইমোশনকে ব্যবহার করে বিভিন্ন স্পর্শকাতর ছবি ও ভিডিও গোপনে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল শুরু করেন অনুপ।
ম্যারেজ মিডিয়া থেকে ছবি নিয়ে অভিনব প্রতারণার জাল বিছিয়ে ছিলেন মনির খান ওরফে হারুন ওরফে অনুপ পোদ্দার। গোপনে ২০০ নারীর স্পর্শকাতর ছবি ও ভিডিও তুলে করেন ব্ল্যাকমেইল। সুযোগ বুঝে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। অর্থ আত্মসাৎ ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগে গত সোমবার রাজধানীর এলিফেন্ট রোড এলাকা থেকে অনুপকে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাব-৪ এর সাইবার সেলের সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে জব্দ করা হয় দুইশতাধিক ভিকটিমের ছবি ও ভিডিওসংবলিত মোবাইল ডিভাইস।
প্রথমদিকে ভিকটিমকে তিনি বিভিন্ন হোটেলে দেখা করার কথা বলে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে রাজি না হলে গোপনে ধারণ করা ভিকটিমের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে করতেন ব্ল্যাকমেইল। কখনো দাবি করতেন ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। সমাজে লোকচক্ষুর ভয়ে বাধ্য হয়ে অনেকেই তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। কেউ কিছু টাকা দিয়ে পেয়েছেন রেহাই। যারা তার বাগে আসতেন না তাদের স্পর্শকাতর ভিডিও বা ছবি এবং বিভিন্ন পর্নো সাইটের গোপন গ্রুপে পোস্ট ও শেয়ার করে দিতেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান র্যাব ৪-এর সিও মোজাম্মেল হক।