কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে এক তরুণীর সঙ্গে তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এ মামলা হয়।
শনিবার রাতে সবুজবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. মুরাদুল ইসলাম বাংলা ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই নারী এসে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় চিত্তরঞ্জন দাসকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এর আগে শনিবার সকাল থেকে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ওই তরুণী আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মুখরোচক আলোচনা শুরু হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, রাজারবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই তরুণীর শ্বশুরের চায়ের দোকান রয়েছে। সেই দোকান সংস্কার করতে গেলে কাউন্সিলর ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ বিষয়ে সত্যতা যাচাই করতে কাউন্সিলরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তাকে কাউন্সিলর কার্যালয়ে যেতে বলেন। এরপর স্বামীসহ তিনি কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যান।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘৪০ হাজার টাকা প্রসঙ্গে কয়েকটি কথা বলার পর কাউন্সিলর আমায় পাশের রুমে যেতে বলেন। রুমে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। আমাকে বসা থেকে উঠে দাঁড়াতে বলেন। আমি তার কথা মতো উঠে দাঁড়ালে তিনি আমায় জড়িয়ে ধরেন এবং স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন। তিনি আমার শ্লীলতাহানি করেন। আমাকে নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গি করেন এবং আমায় কু-প্রস্তাব দেন। মানসম্মানের ভয়ে তখন কোনো চিৎকার করি নাই। পরের দিন আমায় পুনরায় কু-প্রস্তাব দিলে আমি হ্যাঁ বলে কোনো রকম নিজেকে রক্ষা করি।’
ভিডিওতে দেখা যায়, চিত্তরঞ্জন দাস একটি কক্ষে হলুদ পোশাক পরিহিত এক তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করছেন। কেউ একজন গোপনে ভিডিওটি ধারণ করে। তবে তার এ অনৈতিক কাজের দায় কোনোভাবেই দলের ওপর বর্তাবে না বলে স্থানীয় নেতারা মনে করেন।অবশ্য চিত্তরঞ্জন দাস এ অনৈতিক ও আপত্তিকর ভিডিও প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি নাটকের জন্য দৃশ্যটি ধারণ করা হয়েছিল।’
মামলার বিষয়ে সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. মুরাদুল ইসলাম বলেন, এক তরুণীর একটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে ওই ভুক্তভোগী থানায় এসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।