আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার পালাবদলের কোনো সাংবিধানিক পথ নেই। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণই তাদের পরবর্তী সরকার নির্বাচন করবে।
বিএনপি নেতারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। আর ফোন করে খোঁজ নেয় পুলিশের গতিবিধি। দেশের জনগণ এখন আন্দোলন মুডে নেই, তারা নির্বাচন মুডে আছে।রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) মিলনায়তনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক সভা ও আলোচনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তের বছরের ব্যর্থতার গ্লানি মুছে বিএনপিকে এখন নির্বাচনমুখী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের রায় মেনে নেওয়ার সৎসাহস শেখ হাসিনার আছে। তাই এদিক ওদিক না ঘুরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। ষড়যন্ত্র করে গত একযুগ ধরে কোনো লাভ হয়নি,বাকি সময়েও লাভ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
তিনি বলেন, দিনক্ষণ দিয়ে ইতিহাসে কোনো দিন কোনো আন্দোলন হয়নি। বাংলাদেশেও হয়নি। দিনক্ষণ দিয়ে যে আন্দোলন হয় না, গত নয় বছরে বিএনপির দিনক্ষণের আন্দোলনের ব্যর্থতাই তার বড় প্রমাণ।১৫ আগস্ট বিএনপি ও বেগম জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালন থেকে মোটেই সরছে না। তাহলে তাদের সঙ্গে কি করে সংলাপ হতে পারে? বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।
‘আন্দোলন শুরু হলে মানুষ রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়বে’, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়াতো দূরের কথা, আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি নেতারাই ঝাঁপ বন্ধ করে ঘরে অবস্থান নেয়। হিন্দি সিরিয়াল দেখে আর জানালা দিয়ে উঁকিঝুঁকি মেরে পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্য করে।
আন্দোলনের জন্য প্রয়োজন জনঘনিষ্ঠ ইস্যু ও যুৎসই সময় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও গণমূখী রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলো ইস্যুর খরায় ভুগছে। এজন্যই এই মুহূর্তে দেশে বিএনপির কথিত আন্দোলনের অবজেক্টিভ কোনো অবস্থা নেই।
করোনার অভিঘাত মোকাবেলায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি দেশের মানুষ এখন নিজের অবস্থান উন্নয়নে প্রাণান্ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সময় গণ-অভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্নে বিভোর বিএনপি।
স্বাচিপের মহাসচিব ইকবাল আর্সলানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আ ফ ম রুহুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া, স্বাচিপের মহাসচিব মো. আবদুল আজিজ প্রমুখ।