প্রেমিকার বাসায় মৃত্যু
কুমিল্লার হোমনায় আলম মিয়া (৪৩) নামে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের এক পিয়নের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার চৌরাস্তা মোড়ের এক প্রবাসীর স্ত্রী রেহানা বেগমের ভাড়া বাসায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের মেয়ে আঁখি হোমনা থানায় একটি মামলা করেছেন।পুলিশ ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা যৌন উত্তেজক ওষুধ খেয়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হলে হতেও পারে ওই ব্যক্তির।
আলম মিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সে দাউদকান্দি উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে পিয়ন (এমএলএসএস) হিসাবে কর্মরত ছিলেন। আলম হোমনা পূর্বপাড়া গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে। সে দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক।এ বিষয়ে রেহানা বেগমের ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর সঙ্গে আলম মিয়ার দীর্ঘ দিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। স্বামী জহিরুল ইসলাম বিদেশে থাকার কারণে হোমনা সদরের বদলহাজি বাড়ির মৃত তোতা মিয়ার মেয়ে রেহানা বেগম (২৬) হোমনা চৌরাস্তায় আফাজউদ্দিনের পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। রেহানা বেগমের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের কারণেই আলম মিয়া ওই বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন।
এরই ধারাবাহিকতায় রাতেও আলম ওই নারীর বাসায় গিয়ে রাত ৩টার পরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে রেহানা বেগম আলমের ফোন থেকেই আলমের স্থানীয় এক বন্ধু রফিকুল ইসলামকে ডাকেন। তারই সহযোগিতায় ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসার জন্য আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলমকে মৃত ঘোষণা করেন। সঙ্গে সঙ্গে রেহানা বেগম হাসপাতালে ভুল ঠিকানা ও তার ছদ্মনাম রিপা উল্লেখ করে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।এ বিষয়ে রেহানা বেগমের ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালে নেয়া আলমের বন্ধু ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, কাস্টমার সূত্রে আলম আমার বন্ধু। তার সাথে রাত ৮টায় দাওয়াতে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্ত যেতে পারিনি। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আলমের মোবাইল ফোন থেকে এক নারী আলমের অসুস্থতার কথা জানান। আমি গিয়ে আলমকে ওই বাসার সিঁড়িতে অজ্ঞান অবস্থায় দেখি। পরে ওই বাসা থেকে আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাহিদা সিকদার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর (আলম) মৃত্যু হয়েছে।