ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নে আলী হোসেন (৪৭) নামে এক ব্যাক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ছেলে। অকারণে মাকে বেদম মারধর করত বলেই ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি নিহতের পরিবারের।
হালিমার বড় ছেলে ছোট থেকেই মায়ের ওপর এই নির্যাতন দেখে আসছেন। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালেও হালিমাকে মারধর করেন আলী হোসেন। এ সময় তার কপাল ফেটে যায়। পরে আরিফ মাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করে পুরান বাড়িতে নিয়ে যায়। সারাদিন নিজ বাড়ি যায়নি বলে সন্ধ্যার দিকে আবারো মারতে গেলে, রাগে-ক্ষোভে ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফ দা দিয়ে পিতা আলী হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে।
উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের মোক্ষপুর গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে আলী হোসেন। প্রায় ২৫ বছর আগে বিয়ে করেছেন একই উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের মাগুরজোড়া গ্রামের হালিমা আক্তারকে। আলী হোসেন বিয়ের পর থেকেই হালিমার ওপর অমানবিক নির্যাতন করতেন।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আলী হোসেনের লাশ উদ্ধার করে ত্রিশাল থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের ভাই আবুল কাসেম বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন জানান, মায়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রাগে-ক্ষোভে ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফ দা দিয়ে তার পিতা আলী হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। আরিফ পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নিহতের স্ত্রী হালিমা খাতুন জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামী আমার ওপর অমানবিক নির্যাতন করতেন। বুধবার সকালেও আমাকে পিটিয়ে কপাল ফাটিয়ে দেয়, সন্ধ্যার দিকে আবারো মারতে গেলে বড় ছেলে আরিফ বাবাকে আঘাত করে।